প্রথম দুই ওয়ানডে শেষে ১-১ সমতা থাকায় স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং সফরকারী ভারতীয় দলের মধ্যকার তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেটি রূপ নিয়েছে অঘোষিত ফাইনালে। এদিকে সিরিজ নির্ণায়ক তৃতীয় একদিনের ম্যাচেও পরীক্ষা নিরীক্ষার পথ থেকে সরল না ভারতীয় শিবির। বিশ্বকাপের আগে জুনিয়রদের সুযোগ দিতে মঙ্গলবারও মাঠে নামলেন না রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি। তবু সাই হোপের দলকে ২০০ রানে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতলেন হার্দিক পাণ্ড্যরা।
টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক। হোপের আশায় জপানি ঢেলে ভারত ওপেনিং জুটিতে ১৪৩ রান যোগ করেন। সিরিজে তিনটি ম্যাচেই অর্ধশতরান করলেন ঈশান। শতরান পেলেন না শুভমন। তিনি ৯২ বলে ৮৫ রান করে সাজঘরে ফিরলেন।
এরপর তিন নম্বরে নেমে রুতুরাজ গায়কোয়াড় ৮ রানে ফেরলেও পেলেন না। চার নম্বরে নেমে সঞ্জু স্যামসন করলেন ৪১ বলে ৫১ রান। অপরদিকে প্রথম দুই ম্যাচে ব্যর্থতার পর ত্রিনিদাদের ২২ গজে রান এলো হার্দিকের ব্যাটে। ৫২ বলে ৭০ রান করে অপরাজিত থাকলেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।
চারটি চার এবং পাঁচটি ছক্কা মারলেন হার্দিক। সূর্যকুমার যাদবও দ্রুত রান তুললেন ছয় নম্বরে নেমে। তার ৩০ বলে ৩৫ রানের ইনিংসে রয়েছে দুইটি করে চার এবং ছয়। শেষ পর্যন্ত হার্দিকের সঙ্গে রবীন্দ্র জাডেজা ৮ রানে অপরাজিত থাকেন। ভারত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ৩৫১ রান। বল হাতে ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেটে নেন রোমারিয়ো শেফার্ড
জয়ের জন্য ৩৫২ রান করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মুকেশের দাপুটে বোলিংয়ে ১৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ইনিংসের শুরুতেই কোণঠাসা হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ পর্যন্ত ওই চাপ আর সামলাতে পারেনি আয়োজকেরা। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে ম্যাচ এবং সিরিজ হারলেন তারা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনো ব্যাটারই ঘরের মাঠের ২২ গজে দাঁড়াতে পারলেন না, ব্যতিক্রম শুধু অ্যালিক আথানাজে। তিন নম্বরে নেমে তিনি কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করলেন। কিন্তু কোনো সতীর্থের সহায়তা পেলেন না। কুলদীপ যাদবের বলে আউট হওয়ার আগে তিনি তিনটি চারের সাহায্যে ৫০ বলে করলেন ৩২ রান। তাতে অবশ্য লাভ কিছু হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। শেষ পর্যন্ত তাদের ইনিংস শেষ হল ১৫১ রানে। বল হাতে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন শার্দূল।