সিকান্দার রাজার বলে সিঙ্গেল নিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি পেলেন নাজমুল হোসেন। ৪৫ বলে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন শান্ত। চলতি আসরে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের এটাই প্রথম পঞ্চাশ। এছাড়া টি-টোয়েন্টিতে ১১ ম্যাচ পর বাংলাদেশের কোনো ওপেনারের ফিফটি করলেন। গত ৩১ জুলাই ২০২২, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ৫৬ করছিল লিটন দাস।
স্লগ ওভারের শুরুটা দুর্দান্তভাবে করেছিলেন শান্ত। ১৬ তম ওভারের প্রথম বলে ব্র্যাড ইভান্সকে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন শান্ত। বাংলাদেশের ইনিংসের প্রথম ছক্কা এটি। সে ওভারে ১৭ রান নিয়েছিলেন আফিফের সঙ্গে। তবে পরের ওভারেই ফিরে গেলেন শান্ত। সিকান্দার রাজার বলে ৫৫ বলে ৭১ রান করে আউট হয়েছেন শান্ত। ১৭ ওভার শেষে দলীয় রান ৪ উইকেটে ১২৬।
এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরে বাঁচা মরার ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে এনগারাভার চতুর্থ বলে প্রথম চারের দেখা পায় বাংলাদেশ। শান্ত তার পরের বাউন্ডারি মারেন দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে। কিন্তু সৌম্য সরকার রানের খাতা খুলতে পারেননি। নিজের দ্বিতীয় বলে ডাক মারেন তিনি। মুজারাবানির বলে রেগিস চাকাভার হাতে ক্যাচ দেন সৌম্য। ১০ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
সৌম্যর বিদায়ের পর শান্তর সঙ্গে দলের হাল ধরেছিলেন লিটন। দুই বাউন্ডারিতে ভালো কিছুর আভাসও দিয়েছিলেন। তবে ষষ্ঠ ওভারে অহেতুক স্কুপে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসলেন লিটন। ১২ বলে ৩ চারে ১৪ রান করেন তিনি। শান্তর সঙ্গে লিটনের জুটি ছিল ২২ রানের। দুই উইকেট হারিয়ে নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
টস জেতার পর ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে সাকিব বললেন, ‘আমরা ব্যাট করবো। খুব শুষ্ক উইকেট এবং বোর্ডে রান তোলা নিয়ে সবসময় ইতিবাচক আমরা। দুই দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ এবং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিততে আমাদের সেরা খেলাটা খেলতে হবে। তারা পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতে উজ্জীবিত এবং আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে।’
বাংলাদেশ দলে একটি পরিবর্তন রয়েছে। মেহেদী হাসান মিরাজের বদলে নেমেছেন ইয়াসির আলী রাব্বি। জিম্বাবুয়ের একাদশেও পরিবর্তন আছে একটি। পেসার লুক জঙ্গোয়ের জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন আরেক পেসার টেন্ডাই চাতারা।
বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, ইয়াসির আলী রাব্বি, নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), মোসাদ্দেক হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ ও তাসকিন আহমেদ।
জিম্বাবুয়ে একাদশ: ওয়েসলি মাধেভেরে, ক্রেইগ আরভিন (অধিনায়ক), শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা, রেগিস চাকাভা (উইকেটকিপার), মিল্টন শুম্বা, রায়ান বার্ল, তেন্দাই চাতারা, রিচার্ড এনগারাভা, ব্র্যাড ইভান্স, ব্লেসিং মুজারাবানি।