ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বেইজিংয়ের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইনে সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্রগুলোর ‘প্রকৃত মর্যাদা’ নেই। ইউক্রেনের মতো সাবেক সোভিয়েত দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে চীন এই প্রশ্ন তোলায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ফ্রান্স।
ফরাসি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রদূত লু শায়েকে প্রশ্ন করা হয়েছিল ক্রিমিয়া ইউক্রেনের অংশ কি না। জবাবে তিনি বলেন, ইতিহাস বলে এটি রাশিয়ার অংশ এবং সাবেক সোভিয়েত নেতা নিকিতা ক্রুশ্চেভ ইউক্রেনকে দিয়ে দিয়েছিলেন।
লু বলেন, এই সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্রগুলোর আন্তর্জাতিক আইনে প্রকৃত কোনও মর্যাদা নেই। কারণ তাদের সার্বভৌম মর্যাদা বাস্তবায়িত করার জন্য কোনও আন্তর্জাতিক চুক্তি নেই।
চীনা রাষ্ট্রদূতের শুক্রবার দেওয়া এই বক্তব্য়ের প্রতিক্রিয়া প্যারিস জানিয়েছে রোববার। যেসব মিত্র দেশ সংকটে পড়েছে, তাদের প্রতি ফ্রান্সের ‘পূর্ণ সংহতি’ রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে নিপীড়নের পর এই রাষ্ট্রগুলো তাদের স্বাধীনতা অর্জন করেছে।’
ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, বিশেষ করে ইউক্রেনের বিষয়ে বললে, ক্রিমিয়াসহ এই দেশকে ১৯৯১ সালে চীনসহ সমগ্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্বীকৃতি দিয়েছিল।
তিনি বলেন, চীনকে স্পষ্ট করতে হবে যে এই বক্তব্য তাদের আনুষ্ঠানিক অবস্থানের প্রতিফলন কি না।
ফ্রান্স ছাড়াও সাবেক সোভিয়েতভুক্ত কয়েকটি দেশ এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বাল্টিক রাষ্ট্র এস্তোনিয়া, লাটভিয়া এবং লিথুয়ানিয়া।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের এক জ্যেষ্ঠ সহযোগী মিখাইলো পোডোলিয়াক এক টুইটে লিখেছেন, নিজেদের হাজার বছরের ইতিহাস নিয়ে সচেতন একটি দেশের প্রতিনিধির কাছ থেকে ক্রিমিয়ার ইতিহাস নিয়ে এমন অযৌক্তিক কথা শোনাটা অদ্ভুত।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এ বিষয়ে ফ্রান্সে চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তার মন্তব্য না পাওয়া যায়নি।