অডিও চ্যাটের জন্য ক্লাবহাউস অ্যাপের (clubhouse app)টির ইউজার সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১ কোটি ৩০ লাখ ছাড়িয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে এই অ্যাপটি মোবাইলে ইনস্টল করা থাকলে তা অতর্কিতেই আপনার হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) ও ফেসবুকে হানা দিচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই যা চিন্তায় ফেলছে এই সব সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের।
মূলত, Clubhouse-এর মতো হুবহু দেখতে একটি অ্যাপ বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে। যা ভুলবশত ক্লাবহাউস অ্যাপ ভেবে ডাউনলোড করে ফেলছেন স্মার্টফোন ইউজাররা। আর তার মধ্যে দিয়েই মোবাইলে ঢুকে পড়ছে ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ভুয়া এই অ্যাপটির মাধ্যমে ব্ল্যাকরক ম্যালওয়্যার (Blackrock malware) প্রবেশ করে সহজেই হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা ফেসবুকের তথ্য হ্যাক করে নিতে পারছে। শুধু তাই নয়, অন্যান্য অ্যাপেও এটি চুপিসারে থাবা বসাতে পারে। যেখান থেকে অনায়াসেই আপনার ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেওয়া সম্ভব।
সাইবার অপরাধীরা নানাভাবে ইউজারদের ভুয়া ক্লাবহাইস অ্যাপটি ডাউনলোড করানোর চেষ্টা করছে। ESET গবেষক লুকাস স্টেফাঙ্কোর জানাচ্ছেন, বিপদজনক এই ম্যালওয়্যারটি অডিও চ্যাট অ্যাপের ছদ্মবেশে অ্যান্ড্রয়েড (Android) ফোনে হানা দিচ্ছে। যা ই-ওয়ালেট, শপিং সাইট, সোশ্যাল মিডিয়ার মতো ৪৫৮টি অ্যাপ হ্যাক করতে সক্ষম। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এও দেখা গিয়েছে, গুগল প্লে স্টোর (Google Play Store) থেকে সাধারণত তা ফোনে আসছে না। আসছে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। অর্থাৎ ইউজাররা ওয়েবসাইট থেকে লিঙ্কটি পেয়েই তা ইনস্টল করছেন। কিন্তু মজার বিষয় হল, আসল clubhouse অ্যাপটি শুধু আইফোন ইউজারদের জন্যই এসেছে। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এই অ্যাপটি ব্যবহার করা যায় না।
তাই যে কোনও সাইট থেকে অচেনা অ্যাপ ডাউনলোড না করারই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে অ্যান্ড্রয়েড ইউজারদের জন্য বিষয়টি আরও সহজ। যেহেতু ক্লাবহাউস অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েডের জন্য তৈরিই হয়নি, তাই এর মতো দেখতে কোনও অ্যাপ ভুলেও ইনস্টল করবেন না। সম্প্রতি ক্লাবহাউজ জানিয়েছে, কয়েক মাস পর অ্যান্ড্রয়েড ভার্সনের জন্যও চালু হবে তাদের অ্যাপ।