যুক্তরাষ্ট্রের উপকূলের কাছে কথিত চীনা নজরদারি বেলুনকে গুলি করে নামানোর ঘটনায় ক্ষমা চাইবেন না যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন ওই বেলুনটি নজরদারিতে ব্যবহৃত হয়েছিল, কিন্তু উত্তর আমেরিকার আকাশ থেকে পরে যে আরও তিনটি বস্তুকে গুলি করে নামানো হয়েছে, সেগুলোর বিদেশি কোনো গোয়েন্দা যান হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
যুক্তরাষ্ট্র এখন এই ধরনের উড়ন্ত বস্তু শনাক্তের পদ্ধতিকে আধুনিক করবে; চলতি মাসের বেলুনকাণ্ড নিয়ে শিগগিরই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান জো বাইডেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউসে মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট বলেন “আশা করছি, এর (বেলুন) শেষ দেখতে পাবো আমরা। কিন্তু বেলুন নামানোর জন্য আমি ক্ষমা চাইবো না।সূত্র: বিবিসি
বেলুনটি নজরদারির কাছে ব্যবহৃত হচ্ছিল, যুক্তরাষ্ট্রের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে চীন। তাদের ভাষ্য, বেলুনটি ছিল একটি মামুলি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ যন্ত্র; আবহাওয়া সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়েই এটি পথভ্রষ্ট হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে।
এই প্রসঙ্গে তার প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দৃষ্টিভঙ্গির সুরেই কথা বলেন জো বাইডেন। তিনি মনে করেন, ৪০ হাজার ফুট উঁচু দিয়ে উড়তে থাকা যেই বেলুনটিকে একটি মার্কিন জঙ্গি বিমান আটলান্টিকের আকাশ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র মেরে নামিয়েছে, সেটি আদতে গোয়েন্দাগিরির কাজেই ব্যবহৃত হচ্ছিল।
এই প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে কথা বলা অব্যাহত রাখবে বলে জানান ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, বেলুনের পর যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমানগুলো আলাস্কা, উত্তর-পশ্চিম কানাডা ও হুরন হ্রদের ওপর থেকে যে তিনটি অজ্ঞাত বস্তুকে নামিয়েছে সেগুলো খুব সম্ভবত বেসরকারি কোম্পানি, বিনোদন বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বেলুন বলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মনে করছে।
জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্রিফিং পাওয়া, কানেটিকেট থেকে প্রতিনিধি পরিষদে যাওয়া ডেমোক্র্যাট জিম হাইমস কয়েকদিন আগেই বলেছিলেন, উঁচু দিয়ে ওড়া সব বস্তুর জন্য জঙ্গিবিমান ওড়ানো যুক্তরাষ্ট্রের নীতি হতে পারে না।
“বেলুন গুলি করে নামাতে সামরিক মিশন খুব খরুচে ব্যাপার। এই বিষয়ে আমাদের ব্যাপক চিন্তা করা দরকার,” বলেছেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, চীনা বেলুনের জন্য যে উন্নতমানের রাডার ব্যবহার করা হয়েছে, সেই কারণেই সম্ভবত ওই তিনটি বস্তুকে শনাক্ত করা গেছে।
তিনি বলেন “এজন্য আমি আমার দলকে বলেছি, এমন নির্ভুল নীতি নিয়ে আসো, যা অজ্ঞাত উড়ন্ত বস্তুকে শনাক্ত করার পর কোনটা নিরাপত্তার জন্য হুমকি, যেটার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে, আর কোনটা নয়, সেগুলোকে আলাদা করতে পারে।’’