পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, মানুষকে ক্ষুধার্ত রেখে লকডাউন দিতে পারেন না। এভাবে লকডাউন দিলে তা সমাজের সাধারণ মানুষের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় ফেডারেল সরকারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে দেশটির সিন্ধু প্রদেশের সরকার কর্তৃক আংশিক লকডাউন ঘোষণা করার প্রেক্ষিতে রোববার (১ আগস্ট) তিনি এ মন্তব্য করেন। সে সময় তিনি টেলিফোনের মাধ্যমে জনগণের সাথে সরাসরি প্রশ্নোত্তর পর্বে কথা বলছিলেন।
পাকিস্তানে করোনার প্রথম তিনটি ঢেউ মোকাবেলায় সরকারকে সহযোগিতা করায় দেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে চলমান চতুর্থ ঢেউয়ের ক্ষেত্রেও তাদেরকে সাধারণ স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলার আহ্বান জানান। এরপর তিনি লকডাউন আরোপ করায় সিন্ধু সরকারের সমালোচনা করে বলেন, তারা এ সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় দরিদ্র মানুষের কষ্টের কথা বিবেচনায় নেয়নি।
ইমরান খান আরো বলেন, সিন্ধু সরকার লকডাউন দিতে চেয়েছিল, করোনা মোকাবেলায় এটা সঠিক সিদ্ধান্ত। কিন্তু আমরা লকডাউন দিয়ে কি আমাদের অর্থনীতি বাঁচাতে পারবো। এরপর আছে ক্ষুধার সমস্যা, দিনমজুর লোকজন বিশেষ করে সমাজের দরিদ্র অংশের অসুবিধা, তারা কিভাবে এ লকডাউনে নিজেদের বাঁচাবে? এসব প্রশ্নের জবাব না দেয়া পর্যন্ত লকডাউন আরোপ না করতে তিনি সিন্ধু সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
লকডাউনের সিদ্ধান্তে ভারতের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তাদের সরকার সাধারণ জনসাধারণের কথা না ভেবেই লকডাউন জারি করেছে। তারাও আমাদের মতো কেবল উচ্চবিত্ত ও অভিজাতদের কথা ভেবেছিল।
সিন্ধু সরকারের জানা উচিত, যখন আপনি একটি লকডাউন দিতে যাচ্ছেন, তখন আপনি মানুষদের ক্ষুধার্ত রাখতে যাচ্ছেন। যদি তাদের খাদ্যের ব্যবস্থা করতে না পারেন, তাহলে আপনি ক্ষুধার্ত মানুষকে লকডাউনের নিচে রাখতে পারবেন না। তিনি বলেন, পাকিস্তানের অর্থনীতি এখন খুব কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে পার হচ্ছে, এবং অগ্রগতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। এখন সেটাকে কোনো মূল্যেই আঘাত করা উচিত নয়।