খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
খাগড়াছড়ি জেলার পুষ্টি সমৃদ্ধ কৃষিকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
খাগড়াছড়ি পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বিনা মিলনায়তনে আয়োজিত এই সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. আব্দুল মূঈদ।
জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মর্তুজ আলীর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ ফজলুর রহমান, মোঃ মনজুরুল হুদা ও কৃষি তথ্য সার্ভিস খামারবাড়ী, ঢাকার সাবেক পরিচালক, মো. নজরুল ইসলাম। বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আনন্দ এই কর্মশালার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. আব্দুল মূঈদ বলেন, খাগড়াছড়িতে পুষ্টিহীন শিশুদের পুষ্টির চাহিদা পুরণ করতে নিউট্রিশন ষ্মার্ট ভিলেজ প্রকল্পের আওতায় গড়ে তোলা হয়েছে এক হাজার পুষ্টিবাগান। এসব বাগানে শোভা পাচ্ছে ৭টি গ্রæপের পুষ্টিকর শাক, ফল এবং ফল জাতীয় শব্জি। ফলে খাগড়াছড়ির ৬ হাজার ৩শত পরিবারের তীব্র এবং মাঝারী অপুষ্টির শিকার শিশুর পুষ্টির চাহিদা পুরণ হচ্ছে ।
আলোচনা অনুষ্ঠানের আগে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. মো আবদুল আব্দুল মূঈদসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ দীঘিনালার পুষ্টি ক্যাম্প ও পুষ্টি বাগান পরিদর্শন করেন।
অপরদিকে খাগড়াছড়ির সবুজ পাহাড়ে আইন-শৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ আর্টিলারী ব্রিগেড গুইমারা রিজিয়নের উদ্যোগে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে উৎসব পালনে সহায়তা, অসহায়দের ঘর নির্মাণের জন্য আর্থিক সহায়তা, রুগ্ন ব্যক্তিদের জন্য চিকিৎসা সহায়তাসহ কর্মহীন হত-দরিদ্রদের মাঝে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে কম্পিউটার প্রদান করা হয়েছে। রিজিয়ন সদর দপ্তরে এসব অনুদান প্রদান করেন গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শাহরিয়ার জামান। এসময় তিনি করোনা মহামারীতে সবাইকে সরকারী নির্দেশনা মেনে চলার আহবান জানিয়ে বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে শান্তি সম্প্রীতি ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি কর্মহীন ও হত-দরিদ্রদের মানবিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এধারা অব্যাহত থাকবে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে মেজর মঈনুল আলমসহ সামরিক পদস্থ কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।