রাকিব হাসান সাগর ,নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের শিমরাইল-আদমজী-চাষাঢ়া সড়কের সিদ্ধিরগঞ্জ অংশের বেশ কয়েকটি স্থানে খানাখন্দে ভরা । যার ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ছোট-বড় যানবাহন চালকদের। প্রতিদিন দুর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়ে যাতায়াত করছে ইপিজেড শ্রমিক সহ লক্ষ্যদিক মানুষজন।
নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য অতিগুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি। শিল্পনগরী এ অঞ্চলের মানুষের চলাফেরার অন্যতম মাধ্যম আদমজী-চাষাঢ়া সড়ক। তবে সড়কের বেহাল দশা হলেও সংস্কারের কোনো তাগিদ নেই সড়ক ও জনপদ বিভাগের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাজীগঞ্জ, আইটি স্কুল ও ইপিজেড পার হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সামনের সড়কের কিছু অংশ ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে আছে। শুধু এখানেই নয় দুই নম্বর স্ট্যান্ডের পাশে, শিমরাইল সংলগ্ন বিদ্যুৎ অফিসের কয়েক গজ পরে এবং র্যাব-১১ এর সামনে কিছু অংশে বড় বড় গর্ত হয়ে আছে। এসব গর্তের কারণে অল্প বৃষ্টি হলেই পানি জমে একাকার হয়ে যায়। এতে পরিবহন চালকরা ভোগান্তিতে পড়ার পাশাপাশি বেশিরভাগ সময় যানজট সৃষ্টি হয়। তাই অতিদ্রুত এই খানাখন্দের স্থানগুলো সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবহন চালকরা।
এ সড়কের নিয়মিত অটোরিকশা চালান লিটন মিয়া জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ সড়কের এমন অবস্থা। প্রায় সময় এসব গর্তের কারণে চালকরা ধীরগতিতে যানবাহন চালান। এর ফলে তীব্র যানজটে পড়তে হয় তাদের।
আনোয়ারা গার্মেন্টসের লরী চালক হৃদয় বলেন, আমরা প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে গাড়ি নিয়ে আসা-যাওয়া করি। সড়কের মধ্যে অনেক বড় বড় গর্তের কারণে মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে। একদিকে গর্ত, অপরদিকে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে আছি। যত দ্রুত সড়কের কাজ হবে ততই আমাদের জন্য উপকার।
নারায়ণগঞ্জ কলেজের ছাত্রী সাদিয়া জাহান ইশরাত বলেন, আমরা অটোরিকশায় করে কলেজে যাতায়াত করি। সড়কের এমন খানাখন্দের ফলে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার আশঙ্কায় থাকি। বিশেষ করে হাজীগঞ্জ, আইটি স্কুল ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সামনের অংশের গর্তের জন্য।
সড়ক কেনো সংস্কার করা হচ্ছে না জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা ফেরদৌস জানান, আদমজী ইপিজেডের পরের অংশে খানাখন্দটা বেশি হয়েছে। আমি এটা সংস্কার করে দেবো এবং সিদ্ধিরগঞ্জ অংশের সড়কের কাজ অতিদ্রুত ধরা হবে। এটার কাজ ধরার জন্য আমরা কাজগপত্র রেডি করে ফেলেছি।