মধু মানেই মিষ্টি স্বাদ। আর রসুনের স্বাদ? সেটি মুখে দিলেই ভালো টের পাওয়া যায়। অনেকটা ঝাঁঝালো স্বাদের এই মশলা। এই দুই উপাদানের স্বাদ এক না হলেও কাজ কিন্তু আমাদের জন্য উপকার বয়ে আনা।
রসুন ও মধু একসঙ্গে খেলে কী হতে পারে, এমনটা কখনো ভেবেছেন? না-কি মধু ও রসুন একসঙ্গে খাওয়া যায় সেকথা জানতেন না!
মধু কিংবা রসুনের উপকারিতা সম্পর্কে অল্প-বিস্তর জানা আছে নিশ্চয়ই। উপকারী এই দুই উপাদান তাই একসঙ্গে খেলে মিলবে আরও বেশি উপকার। তবে রসুন রান্না করার বদলে কাঁচা খেলেই মিলবে বেশি উপকার। নিয়মিত মধু ও রসুন খেলে আপনি সুস্থতা নিয়ে নিশ্চিন্তে থাকতেই পারেন।
রসুনের উপকারিতা
রসুন খাবারে স্বাদ ও গন্ধ যোগ করার পাশাপাশি ঔষধি গুণের জন্যও পরিচিত। প্রতিদিন সকালে এক অথবা দুই কোয়া কাঁচা রসুন খেলে দূরে থাকা যায় অনেক অসুখ থেকে। তবে খেতে হবে নিয়ম মেনে। উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে ও রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এই ভেষজ। পাশাপাশি ভালোরাখে হৃদযন্ত্রকেও।
মধুর উপকারিতা
মধুর রয়েছে অসংখ্য উপকারিতা। নানারকম ভেষজ ওষুধ তৈরিতে মধু ব্যবহার করা হয়। এটি আমাদেরকে ভেতর ও বাইরে থেকে সুস্থ রাখে। নিয়মিত মধু খেলে বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। রূপচর্চার কাজে মধুর ব্যবহার বেশ পুরোনো। বিভিন্ন ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ রোধ করতে পারে মধু। এতে আছে প্রচুর শর্করা। যে কারণে মধু খেলে বাড়ে হজমশক্তি। মধুতে আছে ডেক্সট্রিন। এই উপাদান সরাসরি রক্তে প্রবেশ করে দ্রুত শক্তি জোগায়।
মধু ও রসুন
প্রথমে একটি রসুনের তিন-চারটি কোয়া কুচি করে নিতে হবে। এরপর এর সঙ্গে মিলিয়ে নিন টেবিল চামচ মধু। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেতে হবে এই মিশ্রণ। এতে আপনি সারাদিন সতেজ অনুভব করবেন। ক্লান্তি থেকে দূরে থাকবেন।
কাশি ও গলাব্যথা সারাতে
এই পদ্ধতি একটু ভিন্ন ধরনের। প্রথমে একটি পেঁয়াজের অর্ধেকটা কুচি করে নিতে হবে। এবার তার সঙ্গে মেশান চার-পাঁচ কোয়া রসুন কুচি, এক টেবিল চামচ আদা কুচি, দু’টি শুকনো মরিচ কুচি, সামান্য আপেল সাইডার ভিনেগার ও একটি আস্ত লেবুর রস। এই মিশ্রণ ঠান্ডা লাগা, কাশি, গলাব্যথা ইত্যাদি সারাতে উপকারী।