1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন

‘খালেদা জিয়া দেখে আসার পরপরই আইভি রহমানকে মৃত ঘোষণা করা হয়’

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২৪ আগস্ট, ২০২১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মৃত্যু শয্যায় থাকা নারী নেত্রী আইভি রহমানকে খালেদা জিয়া সিএমএইচ-এ (ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল) দেখতে যাবেন বলে তার ছেলে-মেয়েদের ৩/৪ ঘণ্টা অন্য একটি রুমে আটকে রাখা হয়। খালেদা জিয়া আইভি রহমানকে দেখে আসার পরপরই তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

আইভি রহমানের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী তাকে স্মরণ করে এ কথা বলেন।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী আইভি রহমান। তিন দিনের মাথায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছিল তার।

প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রের পরিকল্পনা বিভাগে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকের দিনে আমার আইভি চাচির কথাই বেশি মনে হচ্ছে। আর একটা অবাক কাণ্ড আপনারা হয়তো জানেন না, তাকে যখন সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয় আমরা ঠিক জানি না কখন কোন মুহূর্তে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। তার ছেলেমেয়েরা তার কাছে ছিল। সে সময় তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া তাকে দেখতে যাবেন বলে তার ছেলেমেয়েরা যারা বেডের কাছে ছিল, তাদের একটা কামরার মধ্যে নিয়ে তালা মেরে রাখে।

‘প্রায় তিন–চার ঘণ্টা নাজমুল হাসান পাপন, বোন তানিয়া, ময়না—এদের সবাইকে একটা রুমে তালা দিয়ে রেখে তারপর খালেদা জিয়া যান আইভি রহমানকে দেখতে। আর খালেদা জিয়া যখন দেখে ফিরে আসেন, এর পরই তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এ কথাটা অনেকেরই জানা নেই, আমি এটা জানিয়ে রাখলাম যে কত বড় নৃশংসতা এরা করতে পারে!’

গ্রেনেড হামলার ওই ভয়াবহ ঘটনা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, শুধু হত্যার চেষ্টাই না, হত্যার পর লাশ নিয়েও তারা যে কর্মকাণ্ড করেছিল, তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। মারা যাওয়ার পর অনেকের লাশ তারা দিতে চায়নি। লাশ আত্মীয়স্বজনের কাছে তারা দেয়নি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজে দলের সমর্থক এবং যারা জীবিত, তারা যেহেতু সাহায্য করতে যান এবং সারা রাত তাদের চেষ্টার পর একে একে সেই লাশগুলো হস্তান্তর করে। তারা লাশটা পর্যন্ত দিতে চায়নি। পারলে লাশটা গুম করে ফেলত— এই ছিল অবস্থা।

হামলায় আহত ব্যক্তিদের দেশে–বিদেশে চিকৎসাসহ তাদের সুবিধা–অসুবিধায় পাশে দাঁড়িয়েছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের অনেকেই আজ আর নেই, মারা গেছেন। অনেকেই পঙ্গু হয়ে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন।

সরকারপ্রধান বলেন, আহত ব্যক্তিদের আমরা বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট থেকে সহায়তা দিয়েছি এবং সে সময় একটা আলাদা অ্যাকাউন্ট খুলে যে ফান্ড এসেছে, তা থেকে চিকিৎসাধীন প্রত্যেককে আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছি এবং এখনো আমরা দিয়ে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের পক্ষ থেকে আহত যাদের চিকিৎসার প্রয়োজন, তাদের সহায়তা দিচ্ছি। মাসোয়ারা দিচ্ছি, তাদের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা, বিয়েশাদি যত রকমের সহযোগিতা দরকার, আমি এখনো তা করে যাচ্ছি। যাদের খুব খারাপ অবস্থা ছিল, আর্থিকভাবে তাদের সাহায্য এখনো অব্যাহত আছে।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত আইভি রহমানসহ সবার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ শে আগস্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধি শান্তি সমাবেশে এক ডজনের ও বেশি গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। ওই হামলায় শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেও তার শ্রবণেন্দ্রিয় ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আর দলের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা এবং নারী নেত্রী আইভি রহমানসহ দলের ২২ নেতা-কর্মী নিহত এবং অন্তত ৫শ’ নেতা-কর্মী, পথচারী ও সাংবাদিক আহত হন।

সূত্র: বাসস।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি