নিজস্ব প্রতিবেদক
খাল, ডোবা-নালা অপরিষ্কার পাওয়া গেলে আগামী ২০ অক্টোবর থেকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
বুধবার বেলা ১১টায় রাজধানীর মিরপুরের দক্ষিণ বিশিলে গোদাখালী খাল পরিষ্কার কার্যক্রম ও খাল থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন মালামাল পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন তিনি।
ঢাকা উত্তরের মেয়র বলেন, ‘যেভাবে এডিস মশা থেকে নগরবাসীকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য চিরুনি অভিযান পরিচালনা করেছি এবং জরিমানা করেছি, একইভাবে আসন্ন শীত মৌসুমে নগরবাসীকে কিউলেক্স মশা থেকে সুরক্ষা দিতে আগামী ২০ তারিখ থেকে আমরা ডিএনসিসি এলাকার খাল, ডোবা-নালা ইত্যাদি পরিদর্শন করব। সেই খাল, ডোবা-নালা পরিষ্কার অবস্থায় পাওয়া না গেলে আমরা ‘ফাইন’ করব। সরকারি, বেসরকারি কিংবা ব্যক্তি মালিকানাধীন যেকোনো সংস্থাই হোক না কেন, তাকে ফাইন করা হবে।’
খাল থেকে প্রাপ্ত মালামাল প্রদর্শনী সম্পর্কে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিভিন্ন খাল ও লেক পরিষ্কার করছি। এই খালগুলো থেকে আমরা কী কী পাচ্ছি, এখানে তার কিছু নমুনা এই প্রদর্শনীতে রেখেছি। বিভিন্ন খাল থেকে আমরা শতাধিক জাজিম, কয়েক ডজন সোফা, টেলিভিশনের খোলস, ভাঙা ফ্রিজ, সুটকেস, বালিশ, ২০০ ট্রাক, ডাবের খোসা পেয়েছি। কিন্তু এটা কেন?’
মেয়র আতিকুল বলেন, ‘আমি দুই হাত তুলে জনগণের কাছে বলছি, আপনারা খাল দখল করবেন না, খালের মধ্যে ময়লা ফেলবেন না। যুব সমাজকে অনুরোধ করবো, আপনারা সোচ্চার হোন, প্রত্যেকে যার যার এলাকার খালের দায়িত্ব নেন। স্বেচ্ছাসেবকরা এগিয়ে আসুন।’
ডিএনসিসির মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্থার মালিকানাধীন ১৬টি খাল ও লেক চলতি মাসের মধ্যে পরিষ্কার কাজ সম্পন্ন হবে। প্রতিদিন ৫১০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী পরিষ্কার কাজে নিয়োজিত আছে বলে এসময় জানানো হয়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এম সাইদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।