1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন

খাল দখলদার দের আতঙ্ক মেয়র তাপস, প্রতিশ্রতি রক্ষায় অনেকটাই সফল

মুস্তাকিম নিবিড়
  • আপডেট : রবিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২২
মুস্তাকিম নিবিড়ঃ সফলতার আকাঙ্ক্ষা মানুষের সার্বজনীন প্রত্যাশার একটি। এজন্য সফল মানুষের জীবনকথা সবাইকে আকৃষ্ট করে। চরম রোমাঞ্চ ও নাটকীয়তায় ভরা সেসব ইতিবৃত্ত মানুষকে চুম্বকের মতো টানে। তবে সফলতার গল্পটা পড়তে আগ্রহী হলেও এর পেছনের দুঃসহ পরিশ্রম, কষ্টকর অধ্যাবসায়, কঠোর ধৈর্য ও সুনিপুণ পরিকল্পনার বিষয়গুলো অনেকেই এড়িয়ে যায়। সফলতার পেছনে কষ্ট, পরিকল্পনা ও অধ্যাবসায়ের দীর্ঘ দিবস ও রজনীর কথাগুলো মনে রাখা বা অনুসরণ করাও অসংবেদনশীল অনেক মানুষের পক্ষেই সম্ভব হয় না। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বেশিরভাগ শাসনভার ছিলো মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তির হাতে। একের পর এক স্বৈর শাসন প্রতক্ষ্য করেছে এদেশের জনগন।স্থিতিশীল সরকারের অভাবে অন্যায়, দূর্নীতি, দখলদারিত্বের থাবায় যেনে দুমড়ে মুচড়ে যেতে বসেছিলো মানচিত্র।
বুড়িগঙ্গা ও তুরাগের মধ্যবর্তী রাজধানী শহর ঢাকা, আঁকাবাকা খাল বিল ছিলো যার ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য। সেইসব খাল বিল নদী নালা দখলবাজরা পুরোটাই গিলে ফেলে ছিলো। রাজধানীর প্রতিটি খাল, জলাশয় ভরাট করে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল একের পর এক গড়ে তুলেছিলো বানিজ্যিক স্থাপনা। ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচনের আগেই ঘোষনা দিয়েছিলেন জলাশয়ের উপর অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করে জলাবদ্ধতা নিরসনের। নির্বাচিত হওয়ার পর কথা কাজের মিল ও পাওয়া গেছে। প্রায়ই দেখা যায় দলবল নিয়ে বুড়িগঙ্গার পাড়, বিভিন্ন দখলকৃত খাল উদ্ধারে নিজেই স্বশরীরে ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন মেয়র। যেখানেই অবৈধ খাল সেখানেই স্বশরীরে এসে হাজির, অবৈধ উচ্ছেদের কারনে দখলবাজদের কাছে রীতিমতো এক আতঙ্কের নাম মেয়র তাপস। রামপুরা,বসিলা,জুড়াইন,ডেমড়া,হাজরীবাগ, কামড়াঙ্গীর চড়, গেন্ডারিয়া, শ্যামপুর এলাকায় প্রায় ত্রিশটির ও বেশি দখলকৃত খাল উদ্ধার করেছেন মেয়র তাপস।
হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী সিএস পর্চা ধড়ে এসব জলাশয় উদ্ধার কার্য পরিচালনা করছে ঢাদসিক। উদ্ধার কৃত খালের জমিতে নান্দনিক স্থাপনা তৈরী ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা চালু করার নির্দেশনা দিয়ে চলছেন মেয়র তাপস। একই তালে বুড়িগঙ্গার পাড়ে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা গুলো গুড়িয়ে দিচ্ছেন। মেয়র তাপসের উদ্যোগে বেশ কয়েকটি উদ্ধারকৃত খালের মধ্যে অন্যতম গেন্ডারিয়া এলাকার মহিশা খাল। ৪৬ নং ওয়ার্ডের ধোলাইখালের উপশাখা খালটি প্রায় ৪০ বছর ছিলো ভুমি দস্যুদের ভোগ দখলে। সরকারের জমিতে নানান স্থাপনা করে যুগের পর যুগ অবৈধ টাকার সাধ নিয়েছেন সে সকল দখলবাজ মহল। তিন মাস আগে মহিষা খালটিও করলেন উদ্ধার।এতে অনেকটা বাধায় পড়তে হয়েছিলো নগড় ভবন সংশ্লিষ্ট দের।
স্থানীয় কাউন্সিলর এবং ১ম প্যানেল মেয়র শহিদুল্লাহ মিনুও সফল ভাবেই উচ্ছেদ কর্মকান্ড সম্পন্ন করেন। যদিও দু একটা বাড়ি না ভাঙায় জনমনে বিভ্রান্তি রয়েছে। উদ্ধার কৃত খালের জমিতে হরদমই খেলাধুলায় মেতে থাকে স্থানীয় শিশু কিশোর। নিশ্চই ঘিঞ্চি শহরে মুক্ত পরিবেশে বেড়ে ওঠা শিশু কিশোরদের অধিকার। খালটি উদ্ধার হওয়ায় স্থানীয় রা মেয়র তাপসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ আর দখলদারদের মায়া কান্নার সুরে গুজব ও বিদ্রোহের ছোয়া। কিন্ত এতোদিন দখলদার রা খালের জমি থেকে যে অবৈধ টাকা উপার্জন করেছে, এ গুলোর হিসেব নিবে কে? জবাব দিহিতা না থাকলে যেন পুনঃরায় রাক্ষসের থাবায় পরবে উদ্ধার কৃত খাল গুলো। করতে হবে উদ্ধার কৃত জমিগুলোর সঠিক ব্যাবহার। তখন সফলতার সাথে নগরায়নেও বিবেচিত হবেন নগর পিতা।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি