ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর খেরসন থেকে রুশ সৈন্যদের পিছু হটতে নির্দেশ দিয়েছিল রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে কিয়েভ জানিয়েছেন, এখনো খেরসন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের কোনো ‘লক্ষণ’ দেখা যায়নি। রাশিয়ার নির্দেশের পরপরই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে কিয়েভ এই তথ্য জানিয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পদোলিয়াক আজ বুধবার রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে এই কথা জানিয়েছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে লিখেছেন, ‘আমরা কোনো লক্ষণ দেখছি না যে—রাশিয়া যুদ্ধ ছাড়াই খেরসন ছেড়ে চলে যাচ্ছে।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘রাশিয়া ঘোষণাটি একটি চক্রান্ত হতে পারে।’ পদোলিয়াক রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর আদেশকে ‘একটি মঞ্চায়িত নাটক’ বলে অভিহিত করেছেন।
এএফপির পৃথক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু স্থানীয় সময় আজ বুধবার খেরসন থেকে রুশ সৈন্য প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বৈঠকে সের্গেই শোইগু জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিনের সঙ্গে বৈঠকে এই নির্দেশ দেন। সুরোভিকিনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন, ‘সৈন্য প্রত্যাহার শুরু করুন।’
বিবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য নিযুক্ত রুশ জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিন বলেছেন, ‘শহরটি রসদ সরবরাহ বজায় রাখা আর সম্ভব নয়। সমরবিদেরা বলছেন, খেরসন থেকে রুশ সৈন্যদের প্রত্যাহারের অর্থ হলো—নিপার নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড রাশিয়ার সৈন্য মুক্ত হওয়া। সুরোভিকিন এই সিদ্ধান্তকে একটি কঠিন সিদ্ধান্ত বলে আখ্যা দিয়েছেন।