বর্তমানে (অক্টোবর ২০২০ পর্যন্ত) দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণগ্রহীতা তিন লাখ ৩৪ হাজার ৯৮২ জন। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিলের প্রশ্নের জবাবে অর্থ মন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল এ তথ্য জানান।
মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, করোনার টিকা কেনার জন্য এ পর্যন্ত এক হাজার ৪৫৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশ থেকে অবমূল্যায়ন বা অতিমূল্যায়নের মাধ্যমে অর্থপাচারের কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এটি খতিয়ে দেখছে। যেসব ক্ষেত্রে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। সেসব ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।
অর্থপাচার বন্ধে সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এসব পদক্ষেপের ফলে বৈদেশিক মুদ্রা বা অর্থপাচার অনেকাংশে কমে যাবে।
চার মোবাইল অপারেটরের কাছে সরকার পাবে ১৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। দেশের চারটি মোবাইল অপারেটরের কাছে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটারি কমিশন) বকেয়া ১৩ হাজার ২২ কোটি ৩৮ লাখ ৬৫ হাজার ৯৩৪ টাকা। অপারেটরগুলো হলো গ্রামীণফোন, রবি, সিটিসেল (বর্তমানে বন্ধ) এবং রাষ্ট্রয়াত্ত টেলিটক। এদের মধ্যে গ্রামীণফোন ও রবির কাছে বকেয়া অডিট আপত্তি সংক্রান্ত। আর সিটিসেলের বকেয়া উচ্চ আদালত নির্ধারিত ও টেলিটকের কাছে পাবে ৩জি তরঙ্গ বরাদ্দ বাবদ।
শহীদুজ্জমান সরকারের প্রশ্নের জবাবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার এ তথ্য জানান।
মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী গ্রামীণফোনের অডিট আপত্তির ১২ হাজার ৫৮৯ কোটি ৯৮ লাখ ৭৬ হাজার ১৪৯ টাকার মধ্যে দুই হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। তাদের কাছে বকেয়া রয়েছে ১০ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৪ লাখ ৭৬ হাজার ১৩৫ টাকা। রবি ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ ৯১ হাজার ৪৭৬ টাকার মধ্যে ১৩৮ কোটি টাকা দিয়েছে। বকেয়া আছে ৭২৯ কোটি ২৩ লাখ ৯১ হাজার ৪৭৬ টাকা। সিটিসেলের কাছে বাকেয়া ১২৮ কোটি ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৩২৩ টাকা এবং টেলিটকের কাছে বকেয়া এক হাজার ৫৮৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা। টাকা আদায় নিয়ে টেলিটক বাদে তিনটি অপরাটরের সঙ্গে মামলা চলমান আছে। টেলিটকের টাকা চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হলেও কোনও সাড়া মেলেনি।