ভোটের ফল প্রকাশিত হতেই রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে কালীঘাটসহ কলকাতার সর্বত্রই সবুজ আবির খেলায় মেতেছিল। তখনও কর্মী-সমর্থকেরা জানতেন না নন্দীগ্রামে ফল নিয়ে টালমাটাল অবস্থা। ১৯৫৩ ভোটে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছেন মমতা- এমন খবর সর্বত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, এখনও যে ফল প্রকাশ হয়েছে শুভেন্দু জয়ী হয়েছেন। তবে কেউ পুনর্গণনার আবেদন করে তা পরে জানানো হবে।
অপরদিকে রোববার (২মে) ভোটগণনা শুরু পর থেকেই নিজেকে ঘরবন্দি করে রেখেছিলেন মমতা। ফল নিজের কোর্টে আসার পরই স্বমহিমায় হেঁটে বের হন কালীঘাটের বাড়ি থেকে। বাড়ি থেকে বেরিয়ে মমতা বলেন, এটা বাংলার জয়। কিন্তু উচ্ছ্বাস যেন বাঁধভাঙা না হয়। করোনা চলছে। এখন করোনা মোকাবিলা করাই প্রধান কাজ। এখনই বিজয় মিছিল নয়। সবাই বাড়ি যান। অভিনন্দন আপনাদের সবাইকে। আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিজয় উৎসব কবে হবে পরে জানবো।
এরপর স্থানীয় সময় ৬টার এক ভার্চ্যুয়াল সভা থেকে মমতা বলেন, আমি ভেবেছিলাম ২২১ আসন পাবো। সেটাই টার্গেট করেছিলাম। আমি বলেছিলাম যে ডাবল ইঞ্জিনের বিরুদ্ধে ডাবল সেঞ্চুরি করবো। সেটাই করেছি। বাংলার এই জয় আসলে ভারতের জয়। ভারতকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনও খারাপ ব্যবহার করেছে। মনুষ্যত্বকে বাঁচিয়েছে এই জয়।
বিজেপির স্লোগান ছিল রাজ্যে এবার ডাবল ইঞ্জিন। অর্থাৎ কেন্দ্রে বিজেপি রাজ্যেও বিজেপি।
এরপর মমতা বলেন, বাংলায় খেলা হবে। বাংলার গ্রামের ক্লাবগুলোকে ৫০ হাজার ফুটবল আমি দেবো। খেলা হয়েছে, আমরা জিতেছি। বড় আকারে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান করবো না কোভিড পরিস্থিতিতে। এবার মানুষের কথা শুনবো। অন্য কারো কথা নয়।
বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন সবাইকে দেবো। কেন্দ্রকে বলবো ১৪০ কোটি লোককে বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিতে। না করলে গান্ধী মূর্তির নিচে প্রতিবাদ শুরু করবো। আজ আমার খুব আনন্দের দিন। আমার চেয়ে বড় খুশি আর কেউ হয়নি। বিজয় মিছিল না করলেই ভালো এখন। পরে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে বিজয় মিছিল করবো।
‘এখন সবচেয়ে বড় কাজ মানুষের পাশে দাঁড়াবো। সবার পাশে থাকবো। বাংলার মানুষকে আমার স্যালুট। আমি গর্বিত যে বাংলার মানুষ এই কাজ করে দেখিয়েছে দেশকে। যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি পালন করবো। ’
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাজ্যের পূর্ণ ফল প্রকাশ হয়নি। ২১৫ আসনে এগিয়ে আছে তৃণমূল। বিজেপি এগিয়ে ৭৫ আসনে। সংযুক্ত মোর্চা এবং অন্যান্য এগিয়ে আছে একটি একটি করে আসনে।