ঝলমলে, চনমনে আলিয়া ভট্ট নন। তিনি এখন ‘গঙ্গুবাই’। মুম্বইয়ের যৌনপল্লি কামাথিপুরার দাপুটে কর্মী। নতুন ছবি ‘গঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’র যে চরিত্রের জন্য নাকি আমূল বদলে গিয়েছেন আলিয়া নিজেই। সৌজন্যে মীনা কুমারী!
বেশ কয়েক দশকে বলিউডের রাজপাট ছিল যাঁর হাতে, সেই ‘ট্র্যাজেডি কুইন’ মীনা কুমারীই এখন আলিয়ার পাখির চোখ। পরিচালক সঞ্জয় লীলা ভন্সালির নির্দেশ, কালজয়ী নায়িকার ঢঙেই অতীতের নায়িকাদের চলন-বলন, আভিজাত্য তুলে আনতে হবে নিজের অভিনয়ে। অক্ষরে অক্ষরে সেটাই মেনেছেন আলিয়া।
মীনা কুমারীর ছবি তাই মন দিয়ে দেখেছেন আলিয়া। তাঁর কথায়, “যে ভাবে পর্দায় মীনা কুমারী ফুটিয়ে তুলতেন নানা অভিব্যক্তি, যে ভাবে গান গাইতেন, যে ভাবে তাঁর দু’চোখ ভরা থাকত দুঃখে, তবু মুখের ভাষায় ফুটে উঠত মানসিক জোর— সবটাই আমায় শিখে নিতে বলেছিলেন সঞ্জয় স্যর। আমিও সেটাই করেছি।”
শুধু মীনা কুমারী নন, যৌনপল্লির কর্ত্রীর চরিত্র জীবন্ত করে তুলতে শাবানা আজমির দ্বারস্থ হয়েছেন আলিয়া। যৌনপল্লির কাহিনিতে শাবানা-র ‘মান্ডি’ ছবিটিও দেখেছেন ‘গঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’র নায়িকা। সেই ছবিতে শাবানা ছাড়াও ছিলেন আলিয়ার মা সোনি রাজদান। দেখেছেন পরিচালক সঞ্জয়ের আগের সবক’টি ছবিও। সেই অধ্যবসায় বিফলে যায়নি। ভন্সালী ও বাকি গোটা ইউনিট বলছে, এ ছবিতে নাকি তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো অভিনয় করেছেন আলিয়া!