আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে ৭ জানুয়ারি নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সারা দেশে প্রচারণা চলছে। জনসভাগুলোয় মানুষের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। এখানে নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের যে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, এতেই স্পষ্ট ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হবে।
আজ মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় রাজধানীর ধানমন্ডি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনে ২৮টি দলের প্রার্থী আছে। এটাই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট বলে মনে করি। আশা করি ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে। যদিও অশান্তির উপাদান আছে। ইতোমধ্যে অগ্নিসন্ত্রাস, বাস-ট্রেনে আগুন দেওয়া হচ্ছে, যাতে জনগণ আতঙ্কগ্রস্ত হয়, তারা যেন ভোট দিতে না যায়, এ জন্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম বিএনপি চালিয়ে যাচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি খুবই রহস্যময় কিছু অনুষ্ঠান করছে, ৪ তারিখ পর্যন্ত লিফলেট বিতরণ করবে খবর বেরিয়েছে। তবে এসবের মধ্যেও কিছু খারাপ তথ্য বেরিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, বিএনপি এখন লিফলেট বিতরণের নামে কিছুটা নীরবতা দেখাচ্ছে। তবে হঠাৎ করেই তরা সশস্ত্র হয়ে মাঠে নেমে পড়বে। তাদেরকে সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ আছে। হঠাৎ করে তারা গুপ্ত হামলা, ভয়ংকরভাবে ঝুঁকে পড়তে পারে। শুনেছি এজন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন থেকে পিছিয়ে পড়ার কোনো সুযোগ নেই। ৫ বছর পর ৭ জানুয়ারি যে নির্বাচন হবে। যতো বাধাই আসুক, লিফলেট বিতরণ করে জনগণের মধ্যে ভয় দেখানো হোক, কোনোভাবেই নির্বাচন বানচাল করা যাবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ। নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যপারে আমরা অবিচল, অটল। আমাদের ওপর নির্বাচন অনুষ্ঠান ইতিহাস অর্পিত দায়িত্ব। গণতন্ত্র রক্ষার দায়িত্ব। মুক্তিযুদ্ধের স্বাধীনতার আদর্শ রক্ষার দায়িত্ব। এই দায়িত্ব আওয়ামী লীগকে পালন করতেই হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, হঠাৎ করে তারা গুপ্তহত্যা, চোরাগোপ্তা হামলার দিকে ভয়ঙ্করভাবে ঝুঁকে পড়তে পারে। সেজন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে। এখন লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে নীরবতা দেখানো হলেও সশস্ত্র হয়ে উঠবে এমন খবর আমরা পাচ্ছি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপিকে সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ আছে। ২০১৩ শুরু করে ১৪, ১৮ নির্বাচন। এই নির্বাচনে তাদের যে ভূমিকা যেভাবে তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে সারা বাংলাদেশজুড়ে, সরকারি অফিস ভাঙচুর, রাস্তা কেটে ফেলা, রাস্তায় আগুন দেওয়া, ৫ শর বেশি মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা। এবারও তারা ব্যর্থতার হতাশা নিয়ে অনেক কিছুই করতে পারে। কারণ তারা জানে আন্দোলনে তারা সফল হয়নি, নির্বাচনেও হেরে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।