অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারী এবং নির্দেশনা প্রতিপালনে ব্যর্থ পরিবহনের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) বিকেলে সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন তিনি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমণের চলমান প্রেক্ষাপটে সরকার জনস্বার্থে শর্ত সাপেক্ষে গণপরিবহনের ভাড়া সমন্বয় করেছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারী এবং নির্দেশনা প্রতিপালনে ব্যর্থ পরিবহনের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে বিআরটিএ এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে অনেকে সরকারি নির্দেশনা মেনে চললেও আবার অনেকেই মানছে না, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করারও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। পরিবহন মালিক শ্রমিকদের অর্ধেক আসন খালি রেখে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সমন্বয় করা ভাড়ায় গণপরিবহন চালনার আহ্বান জানাই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণপরিবহন যেন নতুন করে করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্র হিসেবে বিস্তৃতি ঘটাতে না পারে সেদিকে সবার নজর রাখতে হবে। জনস্বার্থেই অর্ধেক আসন খালি রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলছে। এ পরিস্থিতিতে অস্থিরতা প্রদর্শন না করে নিজেদের সুরক্ষার স্বার্থে অর্ধেক আসন খালি রেখে চলাচলের সিদ্ধান্ত মেনে চলা এবং সবাইকে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানাই।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের অব্যাহত অগ্রযাত্রায় নিজেদের সম্পৃক্ত না করে অবিরাম মিথ্যাচার আর চলার পথে বাধা সৃষ্টির অপকৌশল গ্রহণ করেছে বিএনপি। শেখ হাসিনা সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে বিএনপি রাষ্ট্রের বিরোধিতা করছে।
তিনি বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার প্রতিটি পদক্ষেপ তাদের স্বভাবজাত নেতিবাচক রাজনীতি দিয়ে বিনষ্ট করছে। মিথ্যাবাদী রাখালের মতো বিএনপির কথা জনগণ এখন আর বিশ্বাস করে না।
সরকার জুলুম করছে—বিএনপি মহাসচিবের এমন অভিযোগ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রকৃতপক্ষে সরকার নয়, আন্দোলনের নামে বিএনপিই মানুষের প্রাণ এবং সম্পদহানি ঘটিয়ে জুলুম-অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। এ দেশে রাজনৈতিক মুখোশের আড়ালে জুলুমতন্ত্র কায়েম করেছিলো বিএনপি।
তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি আবারও নৈরাজ্য তৈরির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। এসব অপকৌশল করে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না। ক্ষমতায় যেতে হলে জনগণের রাজনীতি করতে হবে।