গত বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৫ গুণ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ সোমবার (২৯ মে) দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৭০৪ জন ডেঙ্গু রোগী পেয়েছি।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ায় যথেষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল যাতে প্রস্তুত থাকে, চিকিৎসক এবং নার্সদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। হাসপাতালে করোনা এবং ডেঙ্গুর জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে আড়াই হাজার নার্স-ডাক্তারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু সচেতনতায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, মসজিদের ইমাম এবং সেনাবাহিনীর সহায়তা নেওয়া হয়েছে। প্রচার প্রচারণার জন্য ব্যানার-পোস্টার তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে সভা করা হয়েছে। যদি কোনো জরুরি ব্যবস্থা নিতে হয়, তার জন্য প্রস্তুতি রয়েছে।
জাহিদ মালেক জনসাধারণের উদ্দেশে বলেন, আপনারা বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। কেউ আক্রান্ত হলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসুন। চিকিৎসা নিলে ডেঙ্গু ভালো হয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসার জন্য একটি গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বুস্টার ডোজ হিসেবে ভিসিভি নামে নতুন একটি টিকা আসছে দেশে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মাধ্যমে এই টিকা আনা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৩০ লাখ টিকা আসছে। ট্রায়ালের কাজ শেষ হয়েছে। এই টিকা দেওয়া হবে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যারা আছেন, তাদের তৃতীয় ডোজ হিসেবে। আর যারা টিকা নেননি এমন ব্যক্তিদের মধ্যে ৬০ বছরের বেশি যারা আছেন তাদের এবং সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের এই টিকা দেওয়া হবে।
মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ বিশ্বের মোট উৎপাদিত টিকার ১১ ভাগ টিকা পেয়েছে এ পর্যন্ত। দেশে টিকা উৎপাদনের কাজ চলছে। শিগগিরই দেশে টিকা উৎপাদন হবে।