গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ৭১ জনের।
শনিবার (১২ জুন) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ১০৮ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৬৪ হাজার ২৪ জন।
সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫১০টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩২টি, জিন এক্সপার্ট ৪৪টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৩৩৪টি। এসব ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১১ হাজার ৬৬১টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১১ হাজার ৫৯০টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৬৩ টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৬৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩৯ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ছয়জন, খুলনা বিভাগে ১১ জন, রাজশাহী বিভাগে সাতজন, রংপুর বিভাগে দু’জন, বরিশাল বিভাগে দু’জন ও সিলেট বিভাগে একজন রয়েছেন।
এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৩৩ জন, বেসরকারি হাসপাতালে তিনজন ও বাড়িতে তিনজন মারা গেছেন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ২০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের নিচে চারজন ও ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৭৬২ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৪২৮ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৫৫ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ২১ হাজার ৭০০ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২৩ হাজার ৯৫৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।