গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী মেম্বার প্রার্থী নাজমুল হক রুকু সহ তার লোকজন সহিংসতা চালালে পুলিশের গুলিতে স্থানীয় এক নাগরিক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছে। এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা দায়ের করেছে ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধা সদর উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নে গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এতে করে গত ওইদিন সদর উপজলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের দক্ষিন ধানঘড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট গননা শেষে নির্বাচনী সামগ্রী উপজেলায় নেয়ার সময় হামলা করে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী নাজমুল হক রুকু সহ তার লোকজন।
এ সময় পুলিশ ও হামলাকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে পুলিশের গুলিতে স্থানীয় হামিদুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয় ও দুই পুলিশ সদস্য সহ কয়েকজন আনসার সদস্য আহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হামিদুলকে প্রথমে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে তাকে ভর্তি করলে ঘটনার পরেরদিন শরীরের অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৪ নভেম্বর হামিদুল রংপুর মডিকল কলেজ হাসপাতাল মারা যায়। নির্বাচনী সহিংসতার কারনে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী নাজমুল হক রুকু সহ ৯ জনের নাম উল্লখ করে গত রবিবার রাতে মামলা দায়ের করেছেন উক্ত ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো: শামছুল হক। ১৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় মামলার বিষয়টি গনমাধ্যম ব্যাক্তিদের কাছে প্রকাশ পায়।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান সাথে কথা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টায় বলেন আমি মিটিংয়ে আছি পরে কথা বলছি।