বিশেষ প্রতিনিধি গাইবান্ধা : আদিকাল হতে মহাজনদের দাদন ব্যবসায় নির্যাতন ও জুলুম করা হতো কেড়ে নেওয়া হতো জমি জমা বসতবাড়ী ও আবাদী জমি। আর বর্তমান সময়ে দাদন ব্যবসায়ীদের মারধোর ও চাপের মুখে এবার গাইবান্ধায় রথেরবাজার এলাকায় ভিটেমাটি হারিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে কোব্বাস আলী নামে এক অসহায় বাস চালকের আত্মহত্যার ঘটনায় সদর থানায় মামলা হয়েছে। তার স্ত্রী হাসিনা বেগম বাদি হয়ে ৬ জনকে আসামী করে এই মামলা করেছেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের মধ্যে কফিলউদ্দিন কে আটক করে।
বাকি আসামীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে বলে জানা যায়। নিহত কোব্বাস আলী রথের বাজারের জেলাল পাড়া গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে। তিনি ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের নৈশ কোচের চালক ছিলেন। সোমবার রাতে তার মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
অভিযোগে জানা গেছে, দশানি গ্রামের দাদন ব্যবসায়ী সোনা মিয়ার কাছে সুদে ত্রিশ হাজার টাকা নেয় কোব্বাস আলী। সেই টাকার লাভে আসলে দেড় বছরে ১ লাখ ২০ হাজারে দাঁড়ায় । এ নিয়ে গত শনিবার দাদন ব্যবসায়ী সোনা মিয়া কোব্বাস আলীকে বেধড়ক মারপিট করেন। এছাড়া এই সুদের টাকার জন্য কিছুদিন আগে কোব্বাসের একমাত্র সম্বল ভিটেমাটি জোরকরে স্ট্যাম্পে লিখে নেয় সোনা মিয়া। এরপরই আতœহত্যার পথ বেছে নেন কোব্বাস আলী।
উল্লেখ্য, গাইবান্ধা জেলা জুড়ে দাদন ব্যবসা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিনিয়ত দাদন ব্যবসায়িদের নির্যাতনের স্বীকার হয়ে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গুত্ব বরণ বা নিজ হতে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। একাধিক ব্যক্তি দাদন ব্যবসায়ির দ্বারা নির্যাতন সইতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। এমতবস্থায় জেলা জুড়ে দাদন ব্যবসায়িরদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা জরুরী হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন সচেতন মহল।