গাইবান্ধায় সুদ ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ন্যে চরম বিপাকে পড়ছে দলিত সম্প্রদায়সহ নিম্ন আয় ও মধ্যবিত্ত শ্রেণি পেশার মানুষ ।
গাইবান্ধায় সাম্প্রতিক সময়ে সুদ ব্যবসায়ীর হাতে একজন পাদুকা ব্যবসায়ী নিহত হওয়ার ঘটনায় চলমান আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যেও জেলা শহরে অবৈধ সুদ ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ন্য বন্ধ হয়নি। বরং কোন কোন ক্ষেত্রে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। জেলা শহর থেকে শুরু করে পাড়ায় পাড়ায় এই সুদ ব্যবসায়ীদের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠেছে। সুদের টাকা আদায়ের জন্য এদের রয়েছে নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী। এতে চরম বিপাকে পড়ছে দলিত হরিজন সম্প্রদায়ের অসহায় মানুষসহ নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণিসহ সর্বস্তরের মানুষ।
জানা গেছে, গাইবান্ধা জেলা শহরের হরিজন সম্প্রদায় ও নিম্ন আয়ের মানুষ চরম আর্থিক সংকটে পড়ে অন্যের দ্বারস্থ হয়। তাদের এই সংকটকে পুঁজি করেই এক শ্রেণির মানুষ সুদ বা দাদন ব্যবসা রমরমভাবে গড়ে তুলেছে। অনেকে বিশেষ করে যুবক শ্রেণির সুদ ব্যবসায়ীরা দলিত হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে জোর করে টাকা লগ্নি করে। আবার অনেক সময় হরিজনরাও নানা অভাব, সংকটে পড়ে ওই সুদ ব্যবসায়ী যুবকদের স্মরণাপন্ন হয়। ফলে মাস শেষে তাদের আয়ের একটি বিরাট অংশ ওই সুদ ব্যবসায়ীদের টাকার লভ্যাংশ দিতেই প্রায় শেষ হয়ে যায়। এতদসত্ত্বেও আসল টাকা কখনই পরিশোধ হয়না। ফলে এই ঋণের চক্রব্যূহ থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না অসহায় মানুষ।
উল্লেখ, সুদ ব্যবসায়ী গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর স¤পাদকের বাড়ি থেকে ফাঁসিতে ঝুলানো অবস্থায় শহরের থানাপাড়ার বাসিন্দা আফজাল সুজের সাবেক মালিক হাসান আলীর (৪২) মৃতদেহ ১০ এপ্রিল সকালে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় কারাগারে আটক রয়েছে মাসুদ রানা। এ কারণে তাকে দল থেকে বহিস্কারও করা হয়।
সুদের কিস্ত্রি না দেয়ায় টানা এক মাস ওই ব্যবসায়ীকে মাসুদ রানার বাড়িতে জোরপূর্বক আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। এ হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে হাসান হত্যার সকল আসামি গ্রেফতার, সুষ্ঠু বিচার, সুদ ব্যবসা বন্ধসহ ৪ দফা দাবিতে গাইবান্ধায় আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে।