ইসরায়েলি সৈন্যরা গাজার প্রধান হাসপাতালে একের পর এক ভবনে তল্লাশি চালাচ্ছে। শুক্রবার এই অঞ্চলে বিদ্যুৎ বিহীন এবং ইন্টারনেটসহ সবধরণের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় হাসপাতালে আটকে পড়া বেসামরিক লোকদের মধ্যে ভয়, আতঙ্ক ও উদ্বেগ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
হাসপাতালটিতে হামাসের কমান্ড সেন্টার রয়েছে এই দাবী তুলে বুধবার ইসরায়েলি সৈন্যরা উত্তর গাজার আল-শিফা হাসপাতালে অভিযান শুরু করে।
হামাস এবং হাসপাতালের পরিচালকরা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং সেখানে কয়েক হাজার মানুষের ভাগ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাসপাতালটিতে আহত রোগী এবং নবজাতকসহ অনেক রোগীর পাশাপাশি হাসপাতাল চত্বরে অনেক উদ্বাস্তু আশ্রয় নিয়েছে। ইসরায়েলে ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় হামাসকে নির্মূল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইসরায়েল। এই হামলার জবাবে ইসরায়েল বিমান হামলার পাশাপাশি স্থল হামলা চালিয়ে গাজাকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে।
গাজায় হামাস পরিচালিত স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মতে, ইসরায়েলের বিমান হামলা ও বোমাবর্ষণ এবং স্থল অভিযানে হাজার হাজার শিশুসহ ১১,৫০০ মানুষ নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার বলেছে, তারা রাইফেল, গোলাবারুদ, বিস্ফোরক এবং আল-শিফাতে একটি সুড়ঙ্গ খাদের প্রবেশদ্বার খুঁজে পেয়েছে।
হাসপাতাল সম্পর্কে অভিযোগ যাচাই করা হয়নি এবং শুক্রবার গাজার সাথে যোগাযোগ আবার বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
নেটওয়ার্ক প্রদানকারী প্যালটেল গ্রুপ বলেছে,সমস্ত টেলিযোগাযোগ বন্ধ ছিল কারণ ‘নেটওয়ার্ক টিকিয়ে রাখার সমস্ত জ্বালানি উৎস শেষ হয়ে গেছে এবং জ্বালানী প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি’।
জাতিসংঘ সতর্ক করেছে যে, অন্ধকারাচ্ছন্ন বেসামরিক নাগরিকদের দুর্দশা বাড়িয়ে দেবে। সাহায্য বিতরণের প্রচেষ্টাকে জটিল করে তুলবে এবং সম্ভবত এর সরবরাহ লুটপাট শুরু করবে।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, ‘যখন ব্ল্যাকআউট থাকে তখন আপনি আর কারও সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন না। যা উদ্বেগ ও আতঙ্ককে আরও বেশি বাড়িয়ে দিয়েছে।’
ইসরায়েল বলেছে, তার বাহিনী আল-শিফা হাসপাতালে একের পর এক ভবন তল্লাশি করছে এবং কাছাকাছি একটি ভবনে একজন নারী জিম্মির লাশ পাওয়ার কথা জানিয়েছে।