জ্বালানি সংকটে গাজার সবচেয়ে বড় দুই হাসপাতাল আল-শিফা ও আল-কুদসের সেবা কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার দুটি বৃহত্তম হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর স্নাইপাররা আল-শিফা হাসপাতালের কাছে কাউকে দেখতে পেলেই গুলি চালাচ্ছে। হাসপাতালের ভেতরে তারা হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে আটকে রেখেছে।
হাসপাতালটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় তিন নার্স নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এ ছাড়া গত ১১ নভেম্বর বিদ্যুৎ বিভ্রাট শুরু হওয়ার পর থেকে অকালে জন্ম নেওয়া দুটি শিশুসহ ১২ জন রোগী মারা গেছেন।
অন্যদিকে জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালও বন্ধ হয়ে গেছে।
হাসপাতালের প্রধান আহমেদ আল-কাহলুত আল জাজিরাকে বলেছেন, হাসপাতালের প্রধান জেনারেটরের জ্বালানি শেষ হয়ে গেছে। এর ফলে তারা হাসপাতালটির কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন।
রোগীদের পাশাপাশি হাসপাতালটিতে ৫ হাজারেরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষ অবস্থান করছেন বলে জানান তিনি।