গাজায় ইসরায়েলের হামলায় লাশের সারি দীর্ঘ হচ্ছে। প্রতিদিনই সেখানে হতাহতের ঘটনা সামনে আসছে। গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। খবর বিবিসির।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রতিদিনই সেখানে হামলা চালিয়ে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করা হচ্ছে। এ থেকে বাদ যাচ্ছে না শিশুরাও। ধ্বংসস্তূপের নিচে প্রায় দুই হাজার মানুষ চাপা পড়েছে বলেও আশঙ্কা ।
এদিকে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় আর কত বেসামরিক নাগরিক নিহত হবে এই প্রশ্ন রেখেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার প্রধান ভলকার তুর্ক। গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শিশু, নারী ও পুরুষদের মুখে যে যন্ত্রণা, আতঙ্ক এবং ভয় তৈরি হয়েছে তা সহ্য করার মতো নয়।
এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার বলেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনিদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার জন্য লিফলেট বিতরণ করছে কিন্ত গাজায় কোনো নিরাপদ স্থান নেই।
অপরদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় আরও দুই সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের প্রেস ফ্রিডম গ্রুপ এমএডিএ আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, গাজার মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে দায়িত্ব পালন করছিলেন সারি মানসুর এবং হাসুনেহ সেলিম। সে সময়ই তারা হামলায় নিহত হন।
দ্য কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৪২ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩৯ জন ফিলিস্তিনি, চারজন ইসরায়েলি এবং একজন লেবাননের নাগরিক।
১৯৯২ সাল থেকে বিভিন্ন সংঘাতে সাংবাদিক হতাহতের তথ্য সংগ্রহ এবং প্রকাশ করে আসছে সিপিজে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ১৯৯২ সালের পর থেকে যে কোনো সংঘাতে যত সাংবাদিক নিহত হয়েছেন গত এক মাসে গাজায় তার চেয়ে বেশি সাংবাদিকের প্রাণহানি ঘটেছে। ইসরায়েল বলছে, হামাসকে একেবারে নির্মূল করে ফেলাই হচ্ছে তাদের প্রধান উদ্দেশ্য।