গাজা উপত্যকায় স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এবং ইসরায়েলের সংঘাতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩১ সাংবাদিক নিহত হয়েছে। কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সিপিজের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নিহত সাংবাদিকদের মধ্যে ২৬ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক, ৪ জন ইসরায়েলি এবং একজন লেবাননের নাগরিক। খবর বিবিসির।
এছাড়া এই সংঘাতে আরও ৮ সাংবাদিক আহত হয়েছে। সিপিজে জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৯ জন সাংবাদিকের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, তারা হয় নিখোঁজ হয়েছেন অথবা তাদের আটক করা হয়েছে।
ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে ফিলিস্তিনের খ্যাতনামা চলচ্চিত্র নির্মাতা রোশদি সররাজ নিহত হয়েছেন। এছাড়া সংঘাতে প্রাণ হারানো ইসাম আবদুল্লাহ ছিলেন রয়টার্সের বৈরুতভিত্তিক ভিডিওগ্রাফার। তিনি লেবানন সীমান্তের কাছে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হন।
এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ১২৪ জন চিকিৎসাকর্মী নিহত হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন হাসপাতালের ২৫টি অ্যাম্বুলেন্সও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে সেগুলো এখন আর কাজে লাগানো যাচ্ছে না।
জ্বালানির অভাবে হাসপাতালগুলোর কার্যক্রম ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই সেখানে ৩০টির বেশি হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে আর চিকিৎসাসেবা দেওয়া যাচ্ছে না।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদ্রসা বলেন, ৩২টি মেডিকেল সেন্টার এখন আর সেবা দিতে পারছে না। বিভিন্ন স্থানে হাসপাতালগুলোকে টার্গেট করে হামলার সংখ্যা বাড়ছেই।
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক তহবিল সেভ দ্য চিলড্রেনের ফিলিস্তিনি শাখার আঞ্চলিক পরিচালক জেসন লি বলেছেন, গাজায় প্রতি ১০ মিনিটে একজন শিশু নিহত হচ্ছে। জেরুজালেম থেকে বিবিসির সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, সেখানে আহত ২০ হাজার বেসামরিক নাগরিকের তিনজনের মধ্যে একজনই শিশু।