1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে গাজায় বহুলপ্রত্যাশিত যুদ্ধবিরতি এখন হচ্ছে না। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবটি নিরাপত্তা পরিষদে তোলা হয়।
এ পরিষদের অস্থায়ী সদস্য সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১৩টি দেশ। তবে ভোটদানে বিরত থাকে যুক্তরাজ্য। শেষ পর্যন্ত ভেটো ক্ষমতাধর যুক্তরাষ্ট্র বিপক্ষে ভোট দিলে প্রস্তাবটি আটকে যায়।
নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্যের ভেটো (আমি মানি না) ক্ষমতা রয়েছে। এদের কোনো একটি দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিলে তা পাস করা যায় না।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, গাজায় সহিংসতা বন্ধ করার জন্য অভূতপূর্ব আন্তর্জাতিক আহ্বানের মধ্যে ওয়াশিংটনের এই ভেটো আসল। প্রস্তাবে ভেটো দেয়ার পক্ষে যুক্তি হিসেবে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত রবার্ট উড বলেছেন, ‘প্রস্তাবটি ভারসাম্যপূর্ণ নয়। এতে বাস্তবতা প্রতিফলিত হয়নি।’
এদিকে গাজা ইস্যুতে এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিষদকে অকার্যকর করে রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা করেছে রাশিয়া। এর ফলে গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত দিমিত্রি পোলিয়ানস্কি।
তিনি বলেন, ‘আবারও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতি পোড়ামাটি নীতির প্রতি সমর্থন জানাল এবং এ কারণে এই ধ্বংসযজ্ঞ।’ ওয়াশিংটন ‘সাধারণ বোধবুদ্ধির’ পরিচয় দিতেও ব্যর্থ হয়েছে।
অন্যদিকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আটকে দিয়ে ইসরাইলের পাশে থাকায় যুক্তরাষ্ট্র ও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ইসরাইল। ভোটাভুটির পর জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরাইলের দূত গিলাদ এরদান টুইট (বর্তমান এক্স) করে এ ধন্যবাদ জানান।
এর আগে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই সপ্তাহেই কাউন্সিলকে মানবিক যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছিলেন। জাতিসংঘের সনদের অধীনে মহাসচিবকে দেয়া কয়েকটি ক্ষমতার মধ্যে একটি বিরলভাবে ব্যবহৃত অনুচ্ছেদ ৯৯-কে অনুসারে তিনি বলেছিলেন, একটি মানবিক বিপর্যয় এড়াতে যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন যা ‘সম্পূর্ণ ফিলিস্তিনিদের জন্য সম্ভাব্য অপরিবর্তনীয় প্রভাব ফেলতে পারে, এবং এই অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা নিয়ে আসবে’।
আর্টিকেল ৯৯ এর ক্ষমতাবলে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য হুমকি হতে পারে, মনে হলে জাতিসংঘের মহাসচিব সেগুলো নিরাপত্তা পরিষদের নজরে আনতে পারেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি