গাজা উপত্যকা এখন হাজার হাজার শিশুর কবরস্থানে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘ মঙ্গলবার এ কথা বলেছে। একই সঙ্গে সংস্থাটি আশঙ্কা করছে গাজার আরও অনেক শিশু পানিশূন্যতায় মারা যাবে।
এদিকে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় সাড়ে আট হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক।
জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এলডার এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমাদের ভয়ানক ভয় যে কথিত সংখ্যায় শিশু নিহত হয়েছে তা কয়েক ডজন, তারপর শত শত এবং শেষ পর্যন্ত হাজার হাজারে পরিণত হয়েছে মাত্র এক পক্ষকালের মধ্যেই।
তিনি আরও বলেন, এ সংখ্যা আতঙ্কজনক। বোমা হামলায় ৩ হাজার ৪৫০ এরও বেশি শিশু প্রাণ হারিয়েছে। প্রতিদিনই এ সংখ্যা বাড়ছে।
মুখপাত্র বলেন, গাজা হাজারো শিশুর কবরস্থানে পরিণত হয়েছে। এটি অন্য সবার জন্যে জীবন্ত নরক।
তিনি আরও বলেন, এ ছাড়া ১০ লাখেরও বেশি শিশু বিশুদ্ধ পানির অভাবে ভুগছে।
ইউনিসেফ অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। এ ছাড়া গাজায় প্রবেশের সকল পথ খুলে দেয়ারও আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
এলডার বলেন, যদি যুদ্ধবিরতি না হয়, পানি দেয়া না হয়, ওষুধ এবং অপহৃত শিশুদের মুক্তি দেয়া না হয়? তাহলে আমরা নিষ্পাপ শিশুদের আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেব।
তিনি গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে বলেছেন, গাজায় হামলা শুরুর পর ৯৪০ শিশু নিখোঁজ রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি গ্রুপ হামাস ইসরায়েলে আকস্মিক বড় ধরনের হামলা চালানোর পর ইসরায়েল গাজায় অব্যাহত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।