গাজা সংঘাতের অবসান ঘটাতে সম্ভাব্য বিকল্প বিবেচনায় এনে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সৌদি আরবের জেদ্দায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিষয়ে অর্গাইনাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের ১৯তম পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের এক্সট্রাঅর্ডিনারি সেশনে বক্তৃতাকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মানবিক করিডোর উন্মুক্ত রাখার বিষয় নিশ্চিত করে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। তিনি ফিলিস্তিনিদের মৌলিক প্রয়োজনীয়তা নিশ্চিত করতে ইসলামিক ফিন্যান্সিয়াল সেফটি নেটের ওপর জোর দেন।
অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের নীতি ও অনুশীলন থেকে উদ্ভূত আইনি পরিণতি সম্পর্কে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে বাংলাদেশের দেওয়া জোরালো বিবৃতির কথা উল্লেখ করে তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই অঞ্চলে শিগগিরই শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। যা মুসলিম উম্মাহর দাবি।
রমজানে আল-আকসায় নামাজ পড়া নিয়ে ইসরায়েলের বিবৃতি
মন্ত্রী বলেন, এ জন্য মুসলিম উম্মাহর ঐক্য এবং সব পক্ষের সংকল্পের কোনো বিকল্প নেই। বিশ্বব্যাপী প্রভাবশালী ইস্যুতে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর লক্ষ্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন তিনি।
এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জেদ্দায় ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিশেষ সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি সংস্থার সচিবালয়ে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ এবং ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ড. হাছান মাহমুদ দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে সন্তোষ এবং আগামী দিনে এ সহযোগিতা আরও গভীর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।