রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান -বনানীতে স্পা পার্লারের আড়ালে দেহ ও মাদক বানিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে।অনুসন্ধানে ৫০ এর অধিক স্পা পার্লারের সন্ধান মিলেছে। প্রায় ৫০০ শতাধিক যুবতী নারী নিয়ে চলছে তাদের অবৈধ দেহ ও মাদক বিক্রির কার্যক্রম।স্পা করাতে গিয়ে সর্বস্ব হারানোর অভিযোগ করেছেন অসংখ্য ভুক্তভোগী। দীর্ঘ দিন ধরে প্রশাসনের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা এবং স্হানীয় কিছু কথিত গণমাধ্যম কর্মীদের ম্যানেজ করে চালিয়ে আসছে তাদের দেহ ও প্রতারনা বানিজ্য।অনেক স্পা পার্লার বাহির হতে তালাবদ্ধ হলেও ভিতরে চলে অনৈতিক কার্যক্রম।সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করে চলে কাস্টমার আনা নেওয়ার কাজ।গুলশান ১নং ,রোড়ের ১৩০নং হাউস লিফটের ৩ সোহাগ-পাপ্পুর নেতৃত্বে সম্পূর্ণ ফ্লোরে ছোট ছোট কক্ষে মাদক সেবন সহ চলছে অশ্লীলতা।মেহেদী হাসানের তত্তাবধানে রয়েছে, হ্যান্ডস অফ গোল্ড, বাড়ি নং-১২ বি( (৪র্থ তলা) রোড নং-৫৫।মোঃ ফাহিমের নেতৃত্বে “বাব সামরান স্পা” বাড়ি রোড নং-৬৮ গুলশান -২।মোঃ বাহার উদ্দিন এর”হট স্কোন স্পা” রোড নং-৯৯ বাড়ি নং-৩৩ গুলশান -২।তানিয়ার “হিলটন স্পা” জাহিদ প্লাজা(৫ম তলা)।নয়ন হোসেনের “ডায়মন্ড সেলুন এন্ড স্পা”,প্লাটিনাম মার্কেট।হোয়াইট বিউটি সেলুন এন্ড স্পা,বাড়ি নং-১০১ আর এম সেন্টার (৫ম তলা)।মোঃ হাসানের স্পা পার্লার রয়েছে, রোড নং-৪৭ বাড়ি নং-২০।বারিধারার স্পা ব্যবসায়ী জলিল।আবুল হোসেনের “সেভেন স্পা লিঃ” বাড়ি নং-৩২ (৭ম তলা)।আই কেয়ার স্পা বাড়ি নং ৭/এ ২য় তলা রোড নং-৪১।হাসিনা মমতাজ হাসির সেভেন স্পা বাড়ি নং-৩/এ (১১তলা) রোড নং-৪৯।স্মাইল স্পা,বাড়ি নং-৬ বি (৫ম তলা) রোড নং-৪৪।লোটাস আই স্পা, জব্বর টাওয়ার (১০ম তলা)।মনজুর হোসাইন মিষ্টির “রিয়া স্পা” বাড়ি নং-৭/এ রোড নং-৪১। স্মার্ট বিউটি কেয়ার, বাড়ি নং-৬০ বি (৪ র্থ তলা) রোড নং-৪৫। “হ্যাপি আই স্পা” বাড়ি ৩৩ (৪্থ তলা)রোড নং-৪৫।আশরাফ ঢালির “রিয়া স্পা” বাড়ি নং-১৫ রোড নং-৬৮/এ।ডলি আক্তারের” হ্যাভেরা স্পা” বাড়ি নং-১৩/১ রোড-১২।ফারিয়া আক্তারের ” হ্যাজামা সেন্টার” নাভানা টাওয়ার লিফটের ২২।মিঠু -সুমন গংদের “বিডি জেন্টস পার্লার”,নাভানা টাওয়ার, লিফটের -১৯।পায়েল এর অধীনে রোড -৪ হাউস নং-৩ বনানী।মোঃ সহিদের রোড নং ২৭হাউজ নং ৩৭ লিফটের ৫ তলা।মোঃ আসাদের রোড নং ১১ হাউজ নং ৫০ পিজা হাটের উপরে।মোঃ জনির রোড নং ২ হাউজ নং -২৬( ২য় তলা)৷ মো:পাপ্পু রোড নং ১৩০ হাউজ নং-২৮ লিফটের ৩।মোঃ আজাদের খুশবু রেস্তোরাঁয় ৪তলা। মোঃ কুদ্দুসের রোড নং ৪১ হাউজ নং ৭/এ ৬। মো: সাগরের জব্বার টাওয়ার লিফটের ৯ম তলা। মো; দিপা রোড নং ৩৩ হাউজ নং ৬ লিফটের ৪। মো: জাকির রতনের ক্যাসেল স্পা হাউজ নং ৯১ / বি ১,২,৩,৪ তলা। মোঃ শাহ আলমের রবি টাওয়ারের পাশের বিল্ডিং এনসিসি ব্যাংকের উপরে লিফটের -৫ নেমে এক সিঁড়ির নিচে গুলশান-১।মোঃ আবিরের রোড নং- ১৩০ হাউজ নং-২৮ লিফটের ৪।মোছাঃ পায়েল রোড নং- ৪৭ হাউজ নং-৪৯ লিফটের ৪।এর বাহিরেও নাম না জানা অসংখ্য স্পা পার্লারে দাবিয়ে বেড়াচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা।গুলশান অভিজাত পাড়া সহসাই যেন স্পার নামে নিরাপদ যৌন পাড়া হয়ে উঠছে। এ সকল স্পার শত-শত নারী প্রতারনা,মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কার্যক্রমে জড়াচ্ছে। স্পা করাতে আসা ব্যক্তিরা এক বার ফেঁসে গেলে আর রেহাই মিলছে না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগীরা জানান,স্পা করার ভিডিও ধারন করে পরিবার কে পাঠিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাদের হতে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়।এ সকল স্পা বা যৌন পার্লারে ধ্বংস হচ্ছে শিক্ষার্থী,যুব সমাজসহ নানা পেশার লোকজন। এ ব্যপারে,বনানী সোসাইটির কর্মকর্তারা “অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা দাবি জানান”।স্পার আড়ালে অনৈতিক কার্যকলাপের ব্যপারে এসি গুলশান জোন মুঠোফোনে বলেন, আমি শুনেছি এসব অভিযোগ মিথ্যা নয়। তথ্য ও অভিযোগ পেলে আমরা নিয়মিত অভিযান করে থাকি। আপনার কাছে এমন কোন তথ্য থাকলে প্রতিবেদন দিন এ ধরণের অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। থানায় নির্দেশ দেয়া আছে, অপরাধের বিষয়ে থানায় জানালে সংশ্লিষ্ট থানা যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।