আবু তাহের বাপ্পা : এক লাখ টাকা বিনিয়োগে প্রতি মাসে মুনাফা সহ রিটার্ন পাওয়া যাবে ৭৫০০/= টাকা এভাবে ২৪ লাখে মূলধন ও মুনাফা সহ ফেরৎ পাওয়া যাবে ১,৮০,০০০/= ব্যবসাটি শতভাগ হালাল । এ জাতীয় ও চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে গোপালগঞ্জের মোঃ কামাল হোসেন। কামাল হোসেন এর বড় পরিচয় তার বাড়ী গোপালগঞ্জ।কাশিয়ানী উপজেলার হোগলাকান্দি গ্রামের কামাল হোসেন গোপালগঞ্জের নাম ভাঙ্গিঁয়ে এমএলএম প্রতারনা করেছে। প্রতারনা ব্যবসা তার নতুন নয় ইতোপূর্বে ও আদম ব্যবসার আদলে ৪ কোটি টাকা প্রতারনা করে গ্রামে চলে গিয়েিেছলো । তিনি জেনারেল প্রপার্টিজ এন্ড ডেভেলপার্স লি: কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। কামাল হোসেন তার প্রোসপেকটাস এ কেন নামের পাশে গোপালগঞ্জ লিখলো তা গণমাধ্যমসহ কাহারো বোধগম্য নয়। তার সাধারণ গ্রাহকগণ বলছে যে গোপালগঞ্জ এর নাম লিখে তিনি নিজেকে অত্যন্ত প্রভাবশালী ও ক্ষমতাশালী হিসেবে নিজেকে জাহির করেছে।
কে এই কামাল হোসেন? মূলত কামাল হোসেন একজন এমএলএম প্রতারক। জেনারেল প্রপার্টিজ এন্ড ডেভেলপমেন্ট লি: নামক তার একটি প্রতিষ্ঠান থাকলেও কোম্পানীর প্রোফাইল এ ছয়টি কোম্পানির নাম রয়েছে ১। জেনারেশন প্রপার্টিজ এন্ড ডেভেলপার্স লি: ২। জেনারেশন হাউসিং লি: ৩। গ্রীন লাইফ টেক্সটাইল লি: ৪। গ্রীন লাইফ ফ্লোয়িং লি: ৫। প্রিন্টিং সেভেন ডিজাইন লি: ৬। গ্রীন লাইফ অটো অটো প্রিন্টিং লি:। উত্তরাতে রবীন্দ্র সরনীর এবিসি টাওয়ারে তার নিরাপত্তার চাদর বেষ্টিত বন্দুকধারী নিরাপত্তা প্রহরীর মধ্যে অফিসের কার্যক্রম পরিচালনা করে মোঃ কামাল হোসেন। বাস্তবিক অর্থে তার কোন প্রকল্প নেই। পূর্বাচল ১৪ নং সেক্টর এ প্রকল্পের কথা বলা হলেও বাস্তব অর্থে কোনো প্রকল্পের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। কোম্পানির প্রোফাইলে ৬টি কোম্পানির নাম থাকলে তিনি ভবিষ্যৎ ব্যবসা হিসেবে দেখিয়েছেন ঢাকাসহ সারাদেশে সুপারশপ তৈরীর পরিকল্পনা। এছাড়াও শ্রীলঙ্কা থেকে নারিকেল এর পানি প্রক্রিয়াজাত করে বাংলাদেশের বড় বড় মার্কেটে বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়া করা হবে। স্বভাবত’ই প্রশ্ন জাগে যে গ্রুপে ৬টি বড় বড় কোম্পানি রয়েছে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সুপার শপ ও ডাবের পানি বিক্রয়। মূলত পুরোটাই প্রতারণা। এরা সংঘবদ্ধ ভাবে এমএলএম প্রতারক। ইতোপূর্বে ও কামাল হোসেন অন্য একটি প্রতারণা মূলক প্রতিষ্ঠান এমএলএম সাথে সম্পৃক্ত ছিল।
৫০,০০০ থেকে শুরু করে ৫০,০০,০০০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত একেকজন গ্রাহকের নিকট থেকে বিনিয়োগ স্বরূপ বিনিয়োগ স্বরূপ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এ সমস্ত টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য দেশব্যাপী তাদের রয়েছে প্রতারক এজেন্ট। এরা প্রত্যেকেই কমিশনভোগী। তাদের প্রোসপেকটাস ও কম্পিউটারে ভুলে ভরা প্রিন্ট কপি। নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই এদের মধ্যে। এদের প্রধান যোগ্যতা বাড়ী গোপালগঞ্জ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট সাধারণ গ্রাহকদের একটাই প্রশ্ন? গোপালগঞ্জ জেলার বাসী হলেই কি তাদের জন্য সকল ধরনের প্রতারণা করা জায়েজ কিনা?, যদি তাই না হয় তাহলে গোপালগঞ্জের নাম ভাঙ্গাঁনোর কারনেই এদের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম আইনানুগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
প্রতারণার সকল কৌশলকে হার মানিয়েছে কামাল হোসেন। গোপালগঞ্জের তার স্থায়ী ঠিকানা ব্যবহার সে যে প্রতারণা করে গোপালগঞ্জ জেলার সকল মানুষের মান ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।
মূলত কামাল হোসেনের সাথে প্রতারণা ব্যবসায় যুক্ত হয়েছেন উত্তরার বহুল আলোচিত এমএলএম প্রতারণা প্রতিষ্ঠান ব্রাইট ফিউচার হোল্ডিংস লি : এর তালিকাভুক্ত পলাতক লিডার মোসা: ফাতেমা বেগম, মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, মোঃ রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার, মোঃ দুলাল মিয়া, শেখ জাহাঙ্গীর সহ আরো প্রশিক্ষিত একদল এমএলএম প্রতারক। ব্রাইট ফিউচার এ হাজার হাজার কোটি টাকা প্রতারনা সাথে এর সম্পৃক্ত ও তালিকাভুক্ত পলাতক আসামী।