সাজাদুর রহমান সাজু: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌরশহরের উপজেলা গেট সংলগ্ন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক’গোবিন্দগঞ্জ শাখায় ঋন কার্যক্রম বন্ধ হওয়ায় ঋন না পেয়ে ভিসা,পার্সপোট ধারী শতাধিক পরিবার দিশেহারা হয়ে কপালে দু:চিন্তার ভাজ পড়েছে।
জানা গেছে, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিদেশে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি করে রেমিট্যান্স আনায়নে সহজ শর্তে দরিদ্র/অসহায় মধ্যবিত্ত বিদেশ গনম ইচ্ছুক ব্যক্তি /পরিবারকে ঋন সহায়তা দেওয়ার কার্যক্রম হাতে নেয় । এরি ধারাবাহিক গোবিন্দগঞ্জ প্রবাসীকল্যান ব্যাংকের আওতায় গোবিন্দগঞ্জ, পালাশবাড়ী ও সাঘাটা উপজেলার প্রবাসে গমনেচ্ছুক গন ঋন আবেদন করতে থাকে। ঋন প্রদানের শুরু থেকে অনিয়মের অভিযোগ উঠে। ভুক্তভোগী জহুরুল ইসলাম সহ অনেকেই জানান, ঋনের আবেদনগুলির মধ্যে বেশীর ভাগই কিছু নির্ধারিত ব্যক্তির মাধ্যমে ঋনের খরচ বাবদ লাখে ৫/:টাকা অগ্রীম নিয়ে সর্বোচ্চ ৩লাখ টাকা ঋন প্রদান শুরু হয়।আর খরচ দিতে না পারা গরীর অসহায় পরিবার গুলি ঋন পেতে রাজনৈতিক বিশেষ ব্যক্তিসহ সাংবাদিক ও স্থানীয় প্রশাসনের দারস্থ হন।এতে বিশেষ ব্যক্তিরা দু-একটি সুপারিশ করলে সেই ঋন তিনি না দিতে নানা অযুহাত দেখান। এতে অনেকের বিমানের টিকেট করে,দিন-তারিখ পার হয়ে যাওয়ায় ভিসা জটিলতায় ঋন পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।এরি মধ্যে ব্যাংকের কার্মঋন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন, প্রবাসী ব্যাংকের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক বিপ্লব কুমার।
আজ মঙ্গলবার প্রবাসী কল্যান ব্যাংক’গোবিন্দগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক পিএম আরিফুল ইসলাম ঋনের আগ্রহী বিদেশ গমনেচ্ছুকগন ব্যাংকে গেলে ঋনের সকল কার্যক্রম বন্ধ আছে বলে জানান। ওই ব্যাংকের ঋন কার্যক্রম বন্ধ হওয়ায় ঋন না পেয়ে ভিসা,পার্সপোট ধারী শতাধিক পরিবার দিশেহারা হয়ে কপালে দু:চিন্তার ভাজ পড়েছে।
এসব বিষয়ে আমাদের সময় প্রতিনিধি প্রবাসী কল্যান ব্যাংক গোবিন্দগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক পিএ আরিফুল ইসলামের সাথে মোবাইলে জানতে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
এর আগে ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, প্রবাসী কল্যান ব্যাক গোবিন্দগঞ্জ শাখা থেকে ৭০১জন বিদেশ গমনেচ্ছুককে প্রায় ১৮কোটি টাকা ঋন দেয়া হয়েছে।আর ৩৪০জনকে ৪কোটি ৯০লাখ টাকা ঋন দেওয়া হবে জানানো হয়।এবং ঋন প্রদানে কিছু নির্ধারিত ব্যক্তির মাধ্যমে পারসেন্ট হারে টাকা নেওয়ার বিষয়ে অস্বীকার করা হয়। সচেতন মহল বলছেন, অসাধু লোকদের কারনে আজ ব্যাংক থেকে প্রবাসীর যথা নিয়মে ঋন পাচ্ছেন না।
পাশাপাশি এই ব্যাংকের ঋনের গ্যারান্টার দু,একজন ব্যবসায়ী বা বিশেষ ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধিদের অবজ্ঞা করে অনিয়মের মাধ্যমে ঋন প্রদান করায় খেলাফির সংখ্যাও বাড়ার আশংকা করা হচ্ছে । অপরদিকে দক্ষতার অভাবে বিশেষ ব্যক্তিদের সাথে ব্যাংকের সু-সম্পর্ক ও সুনাম নষ্ট হচ্ছে।