গত ২৩ মার্চ ২০২১ খ্রিঃ ০৪.৪০ ঘটিকার সময় গোবিন্দগঞ্জ থানার এসআই শফিকুল, এসআই অনিমেষ, এএসআই মামুদ রানা, এএসআই মুসফিকুর, এএসআই ইসমাইল ও সাংবাদিক সাহিন এবং জাকিরের সহায়তায় একটি টিম গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভাস্থ ডেসকো বিদ্যুৎ অফিসের সামনে হতে ভিডিও ফুটেজ দেখে পেশাদার মলম পার্টি/প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য ধৃত আসামী ১। রশিদ (২৭) (অটোভ্যান চালক) পিতা আবুল কালাম সাং কুমিড়াডাঙ্গা ২। ইসাহাক (২৮) পিতা লতিফ সাং খোর্দ্দ গোপালপুর ৩। আমিরুল @ পঁচা (২৮) পিতা গফুর সাং কুমিড়াডাঙ্গা সর্ব থানা গোবিন্দগঞ্জ জেলা গাইবান্ধাগদের কে তাদের অপকর্মে ব্যবহৃত “রশিদুল পরিবহন নামক অটোভ্যান” সহ আটক করে।
উপরোক্ত ১ হতে ৩নং আসামী গত ইং ১৮ মার্চ ‘২১ খ্রিঃ বিকাল অনুমান ০৩ টার সময় গোবিন্দগঞ্জ মায়ামনি চারমাথাস্হ শাহিন প্রেসের সামনে হতে শ্রীমতি অলোকা রানী ও তার শাশুড়ী কে রাজারিরাট পৌঁছে দেয়ার কথা বলে ১নং আসামী রশিদুলের অটোভ্যানে তোলে। ২ ও ৩নং আসামীদ্বয় যাত্রী বেশে উক্ত অটোভ্যানে উঠে ওদের সাথে রাজা বিরাটের উদ্দেশ্যে রওনা করে। পথিমধ্যে উপরোক্ত প্রতারক চক্র পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে অলোকা রানী মহন্ত ও তাহার শ্বাশুড়ীকে কৌশলে একটি কাগজ নাকে শোকাইয়া অর্ধ-অচেতন করে অলকার গলায় থাকা ১০ আনা ওজনের স্বর্নের চেইন, দুই হাতে থাকা দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের বালা, কানে থাকা ০৬ আনা ওজনের কানের দুল সর্বমোট ০২ ভরি ০৮ আনা ওজনের স্বর্ণের গহনা সহ নগদ ২০০/-টাকা হাতিয়া নিয়ে সাপমারা ইউনিয়নের এ্যাপেক্স কোং সংলগ্ন পাকা রাস্তার উপরে নামিয়ে দিয়া পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে রাস্তার সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখে তাহাদেরকে সনাক্ত পূর্বক গ্রেফতার করা হয়।
ধৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের অপর সহযোগী আসামী স্বর্নকার ৪।সুব্রত কুমার (২৯), পিতা-মৃত কানু চন্দ্র সাং-শ্রীপতিপুর (হরিবাসর পাড়া), থানা-গোবিন্দগঞ্জ, জেলা-গাইবান্ধার নাম ঠিকানা প্রকাশ করিলে তাকে মহিমাগঞ্জ এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়।
এ বিষয়ে ভিকটিম অলোকা রানী মহন্ত বাদী হয়ে লিখিত এজাহার দায়ের কলে উল্লেখিত আসামীদের বিরুদ্ধে ২৩ তাং রাতে অত্র থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে।