আগের দিন ৩ উইকেট নিয়ে কাজটা সহজ করে রেখেছিল বাংলাদেশ দল। আজ (রোববার) ম্যাচের পঞ্চম ও শেষদিন বাকি ৭ উইকেট নিলেই আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম জয়ের দেখা পেত বাংলাদেশ। সে ব্যাপারে পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী ছিল টাইগাররা। দলের বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম বলেছিলেন, ২৫০ রান হলেই জেতা সম্ভব ম্যাচটিতে।
কিন্তু বাস্তবতা হলো ৩৯৫ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়েও ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। অভিষিক্ত কাইল মায়ারসের অবিস্মরণীয় ২১০ রানের অপরাজিত ইনিংসে ৩ উইকেটের অবিশ্বাস্য জয় পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল, যা তাদের দিয়েছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ৬০ পয়েন্ট। এর বাইরে এ জয়ের মাধ্যমে রেকর্ডবুকে ঝড় তুলেছে ক্যারিবীয়রা।
অন্যদিকে বাংলাদেশ দল একবারের জন্যও ভাবেনি এ ম্যাচটি হারতে পারে তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হেরে যাওয়ার পর মুমিনুল নিচ্ছেন, ক্রিকেটের ‘গৌরবময় অনিশ্চয়তা’ চরিত্রের আশ্রয়। তার মতে, গোল বলের খেলা ক্রিকেটে এমন অবিশ্বাস্য অনেক কিছুই হয়ে থাকে। তবে বোলারদের ব্যর্থতার কথাও উল্লেখ করেছেন টাইগার অধিনায়ক।
রোববার ম্যাচ শেষে মুমিনুল বলেন, ‘(এভাবে হেরে যাওয়া) আসলেই অবিশ্বাস্য। কিন্তু এটাই গোল বলের খেলা। ক্রিকেটে অবিশ্বাস্য অনেক কিছুই হয়ে যায়। প্রত্যাশায় ছিল না এমন কিছু হবে। আমার কাছে মনে হয় বোলাররা ভালো জায়গায় বল করতে পারেনি। ওদের দুই ব্যাটসম্যান (কাইল মায়ারস ও এনক্রুমাহ বোনার) খুব ভালো ব্যাটিং করেছে।’
পুরো ম্যাচের প্রথম চারদিন পুরোপুরি আধিপত্য ছিল বাংলাদেশের। তাই মুমিনুলের মনে একবারের জন্যও আসেনি পরাজয়ের চিন্তা, ‘কোনো সময়ই আমার কাছে মনে হয়নি (হেরে যাব)। আমরা প্রথম ইনিংসে ভালো খেলেছি, গত চারদিন দাপট দেখিয়েছি। আজ শেষের দিকে ম্যাচটা হেরে গেছি। আমি চিন্তাও করিনি শেষদিকে ম্যাচটা হেরে যাব।’
ম্যাচ হারলেও নির্দিষ্ট কাউকে দোষ দেয়ার পক্ষে নন টাইগারদের টেস্ট অধিনায়ক। তার কথা, ‘যখন দল হারবে, তখন নির্দিষ্ট করে দোষ দিতে পারবেন না। দল হারা মানে সবাই হারা, দল জেতা মানে সবাই জেতা। আমার কাছে এমন কিছু বোধগম্য হয় না (পরাজয়ের নির্দিষ্ট কোনো কারণ আছে)। দল যখন হেরেছে, সবাই একসাথে হেরেছি।’
চট্টগ্রামের এ পরাজয় ভুলে এখন ঢাকার ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর কথাই ভাবছেন মুমিনুল। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই (ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করতে হবে)। ম্যাচ হারলে তো ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করতেই হবে। সে হিসেবে ব্যাটিং বলেন, বোলিং বলেন বা ফিল্ডিং- সবকিছু নিয়েই ভাবতে হবে।