বরিশালের গৌরনদী উপজেলার কাছেমাবাদ বাসষ্ট্যান্ড এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত পরিচয় ব্যাক্তির মরদেহ (৫৫)’র পরিচয় মিলেছে। নিহতের নাম কাজী মোঃ আলাউদ্দিন। পেশায় তিনি একজন গাছ ব্যাবসায়ী। সে বরিশালের বানারী পাড়া উপজেলার সলিয়া বাকপুর গ্রামের মৃত কাজী আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি দুই মেয়ে ও এক ছেলের জনক। ময়না তদন্ত শেষে মঙ্গলবার রাতেই নিহত কাজী আলাউদ্দিনের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অজ্ঞাত ব্যক্তি হিসেবে উদ্ধার হওয়া মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে গৌরনদী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ তৌহিদুজ্জামান সোহাগ বুধবার সকালে নিহত কাজী মোঃ আলাউদ্দিনের পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, ইতোপূর্বে একবার ষ্ট্রোক করার কারনে নিহত কাজী আলাউদ্দিন কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। রাজধানী ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে গত ৭জুন সোমবার সকালে সে বানারীপাড়ার সলিয়াবাকপুর গ্রামের বাড়ি থেকে বের হয়। এর পর সে একটি শাট ও একটি লুঙ্গী পরিহিত অবস্থায় গৌরনদী উপজেলার কাছেমাবাদ বাসষ্ট্যান্ডে এসে সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিষন্ন অবস্থায় ওই বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় ঘোরা ফেরা করে এবং বিভিন্ন দোকানের সামনের বেঞ্চের ওপর বসে সময় কাটায়। মঙ্গলবার ভোরে ওই বাসষ্ট্যান্ডের জালাল সরদারের চায়ের দোকানের সামনের বেঞ্চে বসা অবস্থায় হটাৎ অসুস্থ্য হয়ে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় তার মুখ থেকে সাদা ফেনা বেড়িয়ে আসে। ওইদিন সকাল ৮টার দিকে স্থানীয় যুবলীগ নেতা মোঃ জাকির হোসেন গৌরনদী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার রাশেদ বিন খালিদ এর নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিসের একটি টীম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে অসুস্থ্য কাজী আলাউদ্দিনকে অচেতন অবস্থায় অজ্ঞাতনানা হিসেবে উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে নেয়ার সাথে সাথেই কাজী আলাউদ্দিন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এরপর অজ্ঞাতনামা হিসেবে ময়না তদন্তের জন্য পুলিশ তার মরদেহকে বরিশাল মর্গে পাঠায়। পাশাপাশি পুলিশ মরদেহের পরিচয় সনাক্ত করতে সামাজিক যোগাযোগ ছবি ছড়িয়ে দেয়। ওই ছবি দেখে স্বজনরা গৌরনদী মডেল থানায় যোগাযোগ করে মরহেদের পরিচয় সনাক্ত করেন।