অনেকেরই ঐতিহাসিক স্থান বা স্থাপনা দেখার আগ্রহ বেশি থাকে। তাদের জন্য পছন্দের জায়গা হতে পারে সাতগ্রাম জমিদার বাড়ি। ঢাকার কাছেই অবস্থিত এ বাড়ি থেকে ঘুরে আসতে পারেন দিনের আলো থাকতেই।
অবস্থান: নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার সাতগ্রামে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ঐতিহাসিক সাতগ্রাম জমিদার বাড়ি অবস্থিত।
নির্মাণ: ব্রিটিশ শাসনামলে জমিদার বাড়িটি তৈরি করা হলেও সঠিক নির্মাণ সাল সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি। এ ছাড়া কে এই জমিদার বাড়িটি তৈরি করেছেন। তারও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ইতিহাস: বৃটিশ আমলে এ জমিদার বাড়ি থেকেই জমিদাররা এ এলাকা শাসন করতেন। জমিদাররা প্রজাদের মাঝে খাজনার বিনিময়ে জমি বরাদ্দ দিতেন। খাজনা পরিশোধ করতে না পারলে তারা সাধারণ প্রজাদের উপর খুবই অত্যাচার করতেন।
বৈশিষ্ট্য: জমিদার বাড়ির চারদিকটা খুবই সুন্দর। পুকুর ঘাট, ফুলের বাগানসহ অসংখ্য সবুজ গাছ-গাছালিতে ঘেরা দৃষ্টিনন্দন এ জমিদার বাড়ির আঙিনা।
যেভাবে যাবেন: ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পুরিন্দা বাসস্ট্যান্ডে নেমে রিকশা অথবা হেঁটে সাতগ্রাম জমিদার বাড়ি যাওয়া যায়।
যেখানে থাকবেন: এখানে নবনির্মিত একটি ডাকবাংলো আছে। এ ছাড়া থাকার জন্য কোনো হোটেল, বোডিং, গেস্ট হাউস নেই। ডাকবাংলোটি সদর উপজেলার প্রবেশমুখেই অবস্থিত। তবে নারায়ণগঞ্জ শহরে কিছু হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে।
বিখ্যাত খাবার: মুড়ি, গুড়, চিড়া দিয়ে পাকানো মোয়ার মত বিশেষ এক খাবারকে এ অঞ্চলে ‘ভুজনা’ বলা হয়। খাবারটি খেয়ে দেখতে পারেন। এটি খুব স্বাদ। তবে এ ধরনের খাবার বাজারে কিনতে পাওয়া যায় না। চাইলে স্থানীয়দের বাড়িতে পাবেন।
যা খাবেন: সেখানে অবস্থান করতে চাইলে পুরিন্দা রোডের কাছে খাবারের বেশ কয়েকটি হোটেল বা রেস্টুরেন্ট আছে। এ ছাড়া চাইলে দিনের মধ্যেই ফিরে আসতে পারবেন। সঙ্গে হালকা খাবার থাকলেই চলবে।