1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন

ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ : রাতেই দেখানো হতে পারে মহাবিপদ সংকেত

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ২৫ মে, ২০২৪

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেছেন, বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে আজ শনিবার রাত থেকেই মহাবিপদ সংকেত দেখানো হতে পারে।

আজ দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি বাস্তবায়ন বোর্ডের জরুরি সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এখানে বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস, ভারতের আবহাওয়া অফিস, চীনের আবহাওয়া অফিস, জাপানের আবহাওয়া অফিস এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশের আবহাওয়া অফিসের সঙ্গে সমন্বয় রেখে পরিষ্কার বুঝতে পারছি ঘূর্ণিঝড়টি আসন্ন। আমরা সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছি।

মহিববুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত রয়েছে। আগামী ১ থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যে সংকেত ৩-এ চলে যাবে। সন্ধ্যা নাগাদ বা রাতে ৪-এর ওপরে এবং রাতের বেলা বিপদের পর্যায়ে চলে যেতে পারে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস পর্যালোচনা করে আমরা ঝড়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাত আটটায় আবার এই মন্ত্রণালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল ১১টায় আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছি। এক কথায় এ ঘূর্ণিঝড় আসন্ন, সেটা মাথায় রেখে আমরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করে আমাদের কাজকর্ম শুরু করে দিয়েছি।

কয়টি জেলা আক্রান্ত হতে পারে- সাংবাদিকদের এমন করতে জবাবে প্রতিবন্ধী বলেন, এখানে সাতক্ষীরা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত পুরো এলাকাটি ইফেক্ট হওয়ার ঝুঁকি আছে। এখন ৫০০ থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে এটি অবস্থান করছে। বিশেষ করে পায়রা ও মোংলা বন্দরের সরাসরি দক্ষিণে।

সিডরের মতো ভয়াবহ রূপ নিতে পারে-জানতে চাইলে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা ডেঞ্জার হতে পারে রাত ১২-১টা নাগাদ। এটা ১০ নম্বর মহাবিপদে চলে যেতে পারে, এরকম একটা ঝুঁকি রয়েছে।

তিনি বলেন, কাল রোববার ভোর থেকে এটা প্রাথমিক আঘাত হানতে পারে। কালকে সন্ধ্যা নাগাত মূলটা আঘাত হানবে। পূর্বাভাসে আমরা এরকমই বুঝতে পারছি এবং আজকে রাত বারোটা-একটা থেকেই এটা ডেঞ্জার পয়েন্টে চলে যেতে পারে।

তিনি বলেন, উপকূলীয় জেলায় আমাদের প্রায় চার হাজার আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। এগুলো প্রস্তুত রেখেছি। খাদ্যের জন্য আমাদের প্রত্যেকটি জেলায় গুদামে পর্যাপ্ত শুকনো খাবারসহ যেসব জিনিস দরকার হবে এগুলো মজুত রেখেছি। প্রয়োজনে ঢাকা থেকে যাতে আরো সাপ্লাই দিতে পারি এজন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।

আমাদের ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন। সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে সেই অনুযায়ী কাজ শুরু করেছেন বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি