চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানা পুলিশের ওসি নেজাম উদ্দিন বেলা দুইটায় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘একই সময়ে একই স্থানে দুই পক্ষ সমাবেশ ডাকে। শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্ন হবার আশঙ্কায় কোনো পক্ষকেই সমাবেশ করতে দেয়া হবে না।’এদিকে পৌনে ৩টা নাগাদ বিক্ষুব্ধ মুক্তিযোদ্ধা-জনতা প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশি বাধায় জড়ো হতে না পেরে নিকটস্থ চেরাগী পাহাড় থেকে ডিসি হিল পর্যন্ত সড়কে অবস্থান নেন এবং ডিসি হিল থেকে একটি মিছিল সহকারে শত শত মুক্তিযোদ্ধা ও জনতা প্রেসক্লাব অভিমুখে রওনা দেন। প্রতিমধ্যে চেরাগী পাহাড় এর সামনে এসে পুলিশি বাধায় পড়েন তারা। পরে মিছিল সহকারে ডিসি হিল অভিমুখে ফের রওনা দেন।
মিছিল থেকে হুইপের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর কাছে ‘জাতীয় পতাকা নিরাপদ নয়’ বলে শ্লোগান উচ্চারিত হয় এবং হুইপ পুত্র শারুন চৌধুরী ও হুইপের ভাই নবাব চৌধুরীর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা অবমাননার অভিযোগ তুলে তাদের বিচার চেয়ে মুহুর্মুহু স্লোগান দেয়া হয়।
এদিকে বিক্ষুব্ধ জনতার আরেকটি অংশ মিছিলসহকারে চট্টগ্রাম ওয়াসার সম্মুখে জড়ো হন এবং নিকটস্থ মরহুম জননেতা জহুর আহমদ চৌধুরী বাসভবনের সামনে পল্টন রোডে তারা পথসভা করেন। বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। মিছিল ও এইসব সভা সভা-সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধার সম্মান সংরক্ষণ পরিষদের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবু তৈয়ব ও মহাসচিব মরহুম জননেতা জহুর আহম্মদ চৌধুরীর পুত্র জসিম উদ্দিন চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী মাহবুবুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মাহফুজ আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ আজীজ এর সন্তান ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ এর সদস্য সাইফুদ্দীন খালেদ বাহার, সাবেক ছাত্রনেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নওশাদ মাহমুদ চৌধুরী রানা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আইন বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গ এর সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, ব্যারিস্টার শওগত আনোয়ার খান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গ এর মহাসচিব উত্তম কুমার বড়ুয়া, ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ আলম, অর্থ সম্পাদক সওকত মাসুম, দপ্তর সম্পাদক মো. মনজু, মো. নাসির খান, উজ্জ্বল চৌধুরী, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গ চট্টগ্রাম মহানগর এর সভাপতি নওশাদ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গ চট্টগ্রাম মহানগর এর সহ সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে চৈতী বসু, চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তি যোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম সমন্বয় পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ -সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা (বীর উওম খেতাব) প্রাপ্ত এর সন্তান সাবেক ছাত্রনেতা গোলাম রসুল নিশান ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গ চট্টগ্রাম মহানগর এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেলাল উদ্দিন, মহানগর এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূর হোসেন দুলাল, ৬ দফা আন্দোলনের সাথে যুক্ত থাকার কারণে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে পাক-হানাদার বাহিনী কর্তৃক ৬ টুকরো করা সাবেক চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ নেতা দানেশ চন্দ্র দেব নাথ এর ছোট ভাই বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গ চট্টগ্রাম মহানগর এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরেশ চন্দ্র দেবনাথ , যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদার প্রদান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফয়সাল ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গ চট্টগ্রাম মহানগর ও থানা কমিটির নেতৃবৃন্দ যথাক্রমে মো. ওসমান গনি, গাজী শোহেন, বাবলু মিয়া, মো. আবাস, আমিনুল, মো. গোলাম নবী, মো. ওসমান গনি, মো. হাবিবুর রহমান, পিমলু, নাঈম উদদীন, আবু তাহের রিপন, জয়নাল আবেদীন, মো. বাহার প্রমুখ।