চন্দনাইশ চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম চন্দনাইশে সুমন চন্দ্র ঘোষ (৩৪) নামে এক এনজিও কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে চন্দনাইশ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড দূর্লভপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি এনজিও কর্মকর্তারা আত্মহত্যা বললেও তার নিহতের ভাই সনজিদ ঘোষ পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে জানান। খবর পেয়ে চন্দনাইশ থানার পুলিশ সুমনের লাশ উদ্ধার করে সুরুতহাল রির্পোট তৈরীর পর ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। সুমন টাঙ্গাইল জেলার সদর থানা শিবপুর বেথইয় এলাকার প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ ও অন্জলী রানী ঘোষের ছেলে। সে বিগত ১০ মাস পূর্বে এনজিও সংস্থা সোসাইটি ফর সোশ্যাল সার্ভিস (এসএসএস) এর চন্দনাইশ শাখার মাঠকর্মী।এসএসএস চন্দনাইশ শাখার ম্যানেজার মোশাররফ হোসেন জানান, চন্দনাইশ পৌরসভার দূর্লভপাড়ার একটি ভবনের নিচ তলায় ছিল অফিস এবং ওই ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি রুমে ছিল মাঠকর্মীদের থাকার ব্যবস্থা। ওই রুমে অফিসের ৫ জন কর্মী থাকেন। মঙ্গলবার রাতে সুমন অফিসের কাজ শেষে রুমে যায়। পরবর্তীতে রাত ১১টার পরও সে রুমে না আসায় তার সহকর্মীরা তাকে খোঁজাখুঁজি করে। পরে না পেয়ে ছাদে গিয়ে দেখেন গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় সে ঝুঁলে রয়েছে। পরে তারা বিষয়টি আমাকে অবগত করার পর আমি অফিসে আসি এবং চন্দনাইশ থানায় অবগত করি। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। তবে টাঙ্গাইল থেকে আসার তার ভাই উত্তম ঘোষ ও সনজিত ঘোষ দাবী করেন তার ভাই সুমনকে পরিকল্পতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তারা এব্যাপারে মামলা করার কথা জানান এবং সুষ্ট বিচার দাবি করেন।
চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওবাইদুল ইসলাম বলেন, এনজিও কর্মীর আত্মহত্যার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার কওে এবং সুরুতহাল রির্পোট তৈরীর পর ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়। লাশের গলায় ফাঁসের চিহ্ন রয়েছে এবং ময়না তদন্ত রির্পোট পাওয়ার পর ঘটনার মূল রহস্য জানা যাবে বলেও জানান তিনি।