সঞ্জয় বড়ুয়া, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হল মিলনায়তনে ১৪ ই ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল তিন ঘটিকায় শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের মহাসচিব সাংবাদিক কামাল উদ্দিন এর সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম এর চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম নেতা অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন,লেখক ও গণমাধ্যমকর্মী মোঃ কামরুল ইসলাম। নাগরিক ফোরামের যুগ্ম মহাসচিব আকরাম হোসেন ,চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ মনসুর।
উক্ত আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা দেবু প্রসাদ দেবু,প্রজন্ম চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা চৌধুরী জসিমুল হক,নাগরিক ফোরামের সদস্য শ্রাবন্তী শুক্লা,মানবাধিকার কর্মী শারমিন, ডবলমুরিং থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহেরুন নেসা নিপা, নাগরিক ফোরাম সদস্য লাভলী দিও,কন্ঠশিল্পী হানিফুল ইসলাম চৌধুরী, কবি আলমগীর হোসাইন, সাংবাদিক তসলিম হাসান হৃদয়, মোহাম্মদ মাসুদ, সাংবাদিক মো. ইমতিয়াজ ফারুকী,মোঃ ইদ্রিস মোঃ জামান,মোহাম্মদ ইকবাল হাসান, নারী উদ্যোক্তা আফরোজা সুলতানা পূর্ণিমা, মোহাম্মদ আজাদ হোসেন, মোহাম্মদ জাবেদ মোহাম্মদ জাফর,শিক্ষক মাহবুবুর রহমান,মোহাম্মদ নুর হাজী সিফাতবীন চৌধুরী,পংকজ কুমার দাশ,ইয়াসমীন আকতার টিনা,সাংবাদিক এনামুল হক রাশেদী,এনামুল হক, নুরুল আলম,সাংবাদিক সোলেমান,মোঃ আরিফুল আকবর আরিফ,ইসমাইল তালুকদার,সাংবাদিক বিদ্যুৎ দেব,সাংবাদিক ইলিয়াস রিপন,সাংবাদিক রতন বড়ুয়া প্রমুখ।
ব্যারিষ্টার মনোয়ার হোসেন বলেন,পাকিস্তান হানাদার বাহিনী যখন মনে করে চরম বিপর্যয় আসন্ন,পরাজয় একেবারে ই সন্নিকটে—তখনই তারা পরিকল্পনা করে বুদ্ধিজীবীদের চোখ বেঁধে নিয়ে হত্যা করে।তারা স্বাধীন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎকে এভাবে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করে।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানের এ দেশীয় দোসরদের সহয়তা বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষক, সাংবাদিক,সংস্কুতি কর্মী, চিকিৎসক সহ বিভিন্ন পেশার বরেণ্য ব্যক্তি দের তারা অপহরণ করে পরবর্তীতে হত্যা করে মুলত তারা এই দেশকে সাংস্কৃতিক,সামাজিক ও শিক্ষাগত দিক থেকে দুর্বল এবং পন্ড করে দেয়ার পরিকল্পনা করে।
তিনি জাতির সুর্য সন্তান প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
তিনি বলেন,জাতীয় ও ব্যক্তিগত জীবনে তাদের আদর্শ আমাদের কাজে লাগাতে হবে সবাইকে সুসন্তান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে সেই সকল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শুন্য জায়গা পূরণ করে দেশের তরে কাজ করতে হবে।তিনি বুদ্ধিজীবিদের রেখে যাওয়া আদর্শ,তাদের পথ অনুসরন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভিত্তিক অসাম্প্রদায়িক দূর্নীতি মুক্ত সোনার বাংলা গড়তে পারলে তখন ই শুধু তাদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে।