মন্ত্রী বলেন, ‘৯-১০ তারিখ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে কোভ্যাক্স থেকে আরও ৩৪ লাখ করোনার টিকা আসবে। চীন থেকে কেনা ১০ লাখ টিকা আসবে, তারা আরও ১০ লাখ টিকা আমাদের উপহার হিসেবে দেবে। সবমিলিয়ে ৫৪ লাখ টিকা আগামী ১৫ তারিখের মধ্যে আমরা পেয়ে যাব। এতে আমাদের টিকাদান কার্যক্রমের গতি অব্যাহত রাখতে পারব।’
এ ছাড়া চীন থেকে কেনা আরও ৫০ লাখ টিকা এ মাসে পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘কোভ্যাক্স থেকে একসঙ্গে অনেক টিকা পাই না। তাই চীন থেকে আরও ছয় কোটি টিকা আনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। চীনের সঙ্গে এখন আমরা চুক্তির পর্যায়ে আছি। অর্থনৈতিক কমিটিতে গিয়ে পাস হয়ে যাবে।’
এই টিকা এলে টিকা কার্যক্রম অনেক জোরদার হবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘চীন সেপ্টেম্বরে ১০-১৫ মিলিয়ন টিকা, অক্টোবরে ২৩ মিলিয়ন ও নভেম্বরে ২৩ মিলিয়ন টিকা পাঠাবে। পাশাপাশি কোভ্যাক্সের টিকা আসবে। ফাইজারের টিকাও পাওয়ার কথা ছয় মিলিয়ন। আরও যদি টিকা দেয়, পাব। আমরা আশা রাখি, ভারতের কাছে যে টিকা রয়ে গেছে তাও পাব।’
তিনি বলেন, ‘টিকা এখন খুব প্রয়োজন। টিকা নিয়ে মানুষ সুরক্ষিত হয়। তবে মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কারণ, টিকা নেওয়ার পর এন্টিবডি তৈরি হতে সময় লাগে। বুস্টার ডোজ দিতে হয়, দ্বিতীয় ডোজ নিতে হয়।’
নিবন্ধন করেও অনেকে টিকা নেওয়ার এসএমএস পাচ্ছে না কেন- জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘টিকা হাতে থাকলে মেসেজ যেতে থাকবে। আর টিকা যখন হাতে থাকে না, তখন মেসেজ যায় না। টিকাপ্রাপ্তি সাপেক্ষে মেসেজ দেওয়া হয়। সামনে টিক বেশি করে আসবে, তখন আরও বেশি করে মেসেজ যাবে।’