লকডাউনের কারণে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় হঠাৎ করে পেঁয়াজের বাজার দামের কিছুটা প্রভাব পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা।
ভারতে পেঁয়াজ না আসার সুযোগে নিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নানা অজুহাত দেখিয়ে পেঁয়াজের বাজার অস্থির করার চেষ্টা করছে।
কিন্তু পেঁয়াজের ভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত পানাতে চলতি মৌসুমে শুরু থেকে গত দুই মাসে দেশি পেঁয়াজের ও রসুনের বাজারে স্বাভাবিক রয়েছে।
জেলার ঐতিহ্যবাহী হাজীর হাটে পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১২শ’ থেকে ১৩শ’ টাকা মণ দরে। যার হিসাবে ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে দেশি পেঁয়াজ। আর রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪ থেকে ১০০ টাকা মণ দরে। সবচেয়ে ভালো পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা আর ছোট সাইজের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজিতে।
পেঁয়াজের ভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত জেলা শহর পাবনাতে পেঁয়াজের দামের তেমন কোনো প্রভাব পরেনি। উল্টো গত সম্পাহের চাইতে চলতি সপ্তাহে পেঁয়াজের বাজারে মণ প্রতি ১০০ টাকা করে দাম কমেছে। চলতি মৌসুমে রোজার আগ থেকে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে এক হাজার থেকে ১১শ’ টাকা মণ দরে। সেই পেঁয়াজের দর একটু বৃদ্ধি পেয়ে সবোর্চ্চ ১৩শ’ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। এই দামে পেঁয়াজ বিক্রি করে ক্ষতির সম্মুখে পড়ছে স্থানীয় কৃষকরা।
পেঁয়াজের পাইকার ক্রেতা বিক্রেতারা বলছেন, দেশি পেঁয়াজ ও রসুনের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। এই মৌসুমে পেঁয়াজের বাজারে ঘাটতি কোনো সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কৃষক লকডাউনের কারণে বাজারে পেঁয়াজ ও রসুন হাট বাজারে কম আনছেন। তাই আমদানি কম হচ্ছে।
জেলা কৃষি বিভাগের দেওয়া তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে পাবনা জেলায় ৫১ হাজার হেক্টর জমিতে পেয়াজের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। সেখানে আবাদ হয়েছে ৫৩ হাজার ২৩১ হেক্টর জমিতে। এবার পেঁয়াজ উৎপাদন হয়ছে সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টন। আর রসুন আবাদ হয়েছে সাড়ে ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে। উৎপাদন হয়েছে প্রায় দুই লাখ মেট্রিকটন। গত মৌসুমের চেয়ে চলতি মৌসুমে পেঁয়াজের আবাদ বেশি হয়েছে। তাই দেশি পেঁয়াজের বাজার ঘাটতি হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডি) আব্দুল কাদের বলেন, বর্তমানে বাজারে দেশি পেঁয়াজের কোনো কমতি নেই। বছরের শেষ দিকে কিছু পেঁয়াজ আমদানি করা লাগতে পারে। এরমধ্যে আমাদের বাজারে নতুন পেঁয়াজ উঠে যাবে। লক্ষ্যমাত্রার চায়ে অনেক বেশি পেঁয়াজ এবার হয়েছে পাবনা অঞ্চলে। দামও স্বাভাবিক রয়েছে। পেঁয়াজের দাম একটু বৃদ্ধি না হলে কৃষক লাভের মুখ দেখবে না।