ধর্ম মন্ত্রণালয়ের চাঁদ দেখাসংক্রান্ত জাতীয় কমিটি আজ সন্ধ্যায় বৈঠকে বসেছে। সন্ধ্যার আকাশে চাঁদ দেখা যাওয়ায় কাল ঈদের ঘোষণা দিয়েছে কমিটি। আজ চাঁদ দেখা যাওয়ায় আগামীকাল ঈদ।
এক মাস সিয়াম সাধনার পর উদ্যাপিত হবে ঈদুল ফিতর। ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণের লক্ষ্যে আজ জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসেছিল ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। চাঁদ দেখা যাওয়ায় কালই ঈদুল ফিতর। তবে চন্দ্র মাস শুরু হওয়ার ক্ষেত্রে ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী খালি চোখে চাঁদ দেখার শর্ত রয়েছে।
ধর্মীয় এ উৎসবকে কেন্দ্র করে আজ বিকাল থেকেই শাওয়ালের চাঁদ দেখার জন্য অগণিত মানুষ আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। কাল ঈদের দিন আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে সবাই শামিল হবেন ঈদগাহ ময়দানে। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে মুসল্লিরা কোলাকুলি করবেন একে অপরের সঙ্গে। দোয়া ও মোনাজাত করবেন বিশ্ব মুসলিমের ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা এবং মুসলিম জাহানের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনায়।
ঈদুল ফিতর মুসলিম উম্মাহর জন্য এক সর্বজনীন ধর্মীয় উৎসব। ধনী-দরিদ্র, ছোট-বড়, শাসক-শাসিত ও আবালবৃদ্ধবণিতা সবার জন্য ঈদের আনন্দ যেন সমান ও ব্যাপক হয়, ইসলামে সেই ব্যবস্থা রয়েছে।
এদিকে, ঈদের আগেই চাঁদ দেখা নিয়ে সরকারের মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ফুটে উঠছে। হঠাৎ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার শাওয়ালের চাঁদ দেখা যাবে। ফলে শনিবার ঈদুল ফিতর। সমালোচনার মুখে এ বিবৃতি দেওয়ার একদিনের মাথায় সংশোধন করে নতুন আরও একটি বার্তায় আবহাওয়া অফিস বলেছে-‘শুক্রবার রাতে চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।’ অবশ্য চাঁদ দেখার জন্য সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কমিটি রয়েছে। কিন্তু কমিটির মতামত না নিয়েই প্রথম বার্তাটি দেওয়া হয়েছিল। তাই চাঁদ দেখা নিয়ে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর, এখতিয়ারবহির্ভূত সংবাদ পরিবেশন না করার অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এ ছাড়া এমন সংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সর্বসাধারণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।