1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০০ অপরাহ্ন

চান্দিনায় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর চাল পাওয়া গেলো মুদি দোকানে

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০২৪

এটিএম মাজহারুল ইসলাম,  (কুমিল্লা): কুমিল্লা চান্দিনা এতবারপুর ইউনিয়ন পরিষদের অন্তর্গত এতবারপুর বাজারস্থিত আওয়াল মিয়ার মুদি দোকানে খাদ্য অধিদপ্তর ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হতদরিদ্রদের মাঝে ১৫ টাকা দরে বিক্রয়ের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ৩০ কেজির ২০১ বস্তা চাউল অবৈধভাবে রাখার অভিযোগ উঠেছে।

এলাকাবাসী জানায়, ২০২৪ সালে এই পর্যন্ত খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর চাল পাইনি। ডিলার পূর্বে প্রতি মাসে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর চাল বিক্রি করতেন। খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর চাল বিক্রির ডিলার হলেন এতবারপুর ইউনিয়ন পরিষদের স্থগিত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউসুফ এর বড় ভাই ইউনুস মিয়া। ৫ আগস্ট ২০২৪ইং শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর ডিলার ইউনুস মিয়া চাল নিতে অপারগতা প্রকাশ করায় সাবেক মেম্বার শাহজাহান ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসারের যোগসাজসে এতবারপুর গ্রামের মৃত নাবালক এর ছেলে আব্দুল আউয়াল এর মুদি দোকানে অবৈধভাবে ২০১ বস্তা চাল রেখে বিক্রি করার পায়তারা করছে। এসময় স্থানীয় এলাকাবাসী এসে অবৈধভাবে চাল বিক্রির অভিযোগ তুলে বাধা প্রদান করেন।

অত্র ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার মানিক মিয়া বলেন, ইউসুফ চেয়ারম্যানের বড় ভাই ইউনুস দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম আর দুর্নীতির মাধ্যমে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাৎ করে বিক্রয় আসছে। ইউনুস মিয়া সাবেক মেম্বার শাহজানের মাধ্যমে চান্দিনা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল নিয়ে এসে আওয়ালের মুদি দোকানে রেখে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে। এলাকাবাসীর মাধ্যমে জানতে পেরে আমরা চাল বিক্রি করতে বাধা প্রদান করি।

অত্র ইউনিয়নের বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই অনিয়ম আর দুর্নীতির মাধ্যমে চাল আত্মসাৎ করে বিক্রয় করা হচ্ছে। যারা সত্যিকারের দারিদ্র পরিবার তারা এসব চাল পাচ্ছে না। সচল ধনাঢ্য ব্যক্তিদের নামে তিন ভাগের দুই ভাগ কার্ড করা হয়েছে। পূর্বের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর কার্ড দ্রæত সময়ের মধ্যে বাতিল করে নতুন কার্ড অসহায় গরীবদের মাঝে যেন বন্টন করা হয়।

এব্যাপারে মুদি দোকানদার আউয়াল জানান, ডিলার ইউনুস আমার এখানে রেখে বিক্রয়ের অনুমতি দিলে আমি চালানের টাকা জমা দিয়ে চাউল উত্তোলন করেছি। আমি আগেও এভাবে মুদি দোকানে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল দোকানে রেখে কার্ডধারি অতি দরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করেছি। এসব বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক পরিদর্শক অরবিন্দ ভৌমিক অবগত আছেন।

ডিলারের নির্ধারিত গোডাউনে না রেখে অন্যের মুদি দোকানে রেখে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রয় করার নিয়ম আছে কিনা জানতে চাইলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অরবিন্দু ভৌমিক বলেন, কি কারনে এতবারপুর ইউনিয়নের ডিলার এসব করছে আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিব, যাতে কার্ডধারি অতি দারিদ্র পরিবারের মাঝে সঠিকভাবে বিক্রয় করা যায়।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিয়া হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, উক্ত বিষয়ে আমার নিকট কোন প্রকার অভিযোগ আসেনি, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিব।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি