মাসখানেক আগেও কোম্পানিভেদে বোতলজাত সয়াবিন তেল এক লিটার ১৩৫-১৩৯ টাকা ও পাঁচ লিটার ৬৫০-৬৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। সে তেল এখন খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে এক লিটার ১৫০ টাকায়, দুই লিটার ২৮৫ টাকায় ও পাঁচ লিটার ৭৫০ টাকায়। এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে চাল, ডিম, পেঁয়াজের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে।
শনিবার (৫ জুন) সরেজমিনে রংপুর মহানগরীর বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা যায়, মিনিকেট, নাজিরশাইল, বিআর-২৮ ও ২৯ চালের দাম গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি বেড়েছে ২-৪ টাকা। মিনিকেট বিক্রি করা হচ্ছে ৬২-৬৪ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫৯-৬০ টাকা। নাজিরশাইল ৬০-৬২ টাকায় , যা গত সপ্তাহে ছিল ৫৭-৫৮ টাকা। বি-আর ২৮ ৪৮-৫০ টাকইয়্য, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৫-৪৭ টাকা। বি-আর ২৯ ৪৫-৪৬ টাকা্য, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৩-৪৪ টাকা। আর কাটারিভোগ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫৬-৫৮।
সিটি বাজারের চাল ব্যবসায়ী মিজু মিয়া বলেন, ‘চালের দাম বেশ কয়েকমাস থেকেই ওঠানামা করছে। এভাবে চলতে থাকলে ক্রেতা ও ভোক্তা উভয়কে হয়রানির শিকার হতে হয়। অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় বাজারে’।
সিটি বাজারে চাল কিনতে আসা আয়শা খানম বলেন, ‘কয়েকদিন আগে চালের দাম কিছুটা কমেলেও আবার দাম বেড়েছে। আমরা নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষ। তিনবেলা ভাত ছাড়া চলে না। কিন্তু চালের দাম যেভাবে বেড়ে যাচ্ছে তাতে চাল কিনতেই টাকা শেষ। অন্য খরচ হয় না’।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে মুরগির দাম। খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৩০-১৩৫ টাকায়। আর পাকিস্তানি মুরগি ১৯০-২০০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ২১০ টাকা। দেশি মুরগি ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪২০ টাকা। এছাড়া গত সপ্তাহের দর ২২০ টাকায় রয়েছে লেয়ার মুরগি।
মুলাটোল আমতলা বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী আল-আমিন বলেন, ‘ব্রয়লার ও পাকিস্তানি মুরগির আমদানি কিছুটা বেড়েছে বলেই দাম কমেছে। দাম কমলেই বাজারে ক্রেতার সমাগম বেড়ে যায় ও আমাদের বেচাকেনা ভালো হয়’।
তবে বেড়ে গেছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। প্রতিহালি ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ৩২-৩৪ টাকা। দেশি মুরগির ডিম ৭০ টাকা, হাঁসের ডিম ৪০-৪৫ টাকা ও পাকিস্তানি মুরগির ডিম ৪৫ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সিটি বাজারের ডিম ব্যবসায়ী শামছুল হক বলেন, ‘দাম বাড়লেও ডিমের চাহিদা কমেনি। প্রোটিনের চাহিদা পূরণে ডিম অত্যাবশ্যক। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছেই ডিমের চাহিদা রয়েছে’।
এদিকে সবজির বাজারে বিরাজ করছে স্বস্তি। বাজার ঘুরে দেখা যায়, বরবটি ৪০ টাকা, ঢ়েঁড়স ২০-২৫ টাকা, বেগুন ৩০-৩৫ টাকা, পেঁপে ৪০-৪৫ টাকা, পটল ২৫-৩০ টাকা, কাঁচাকলা প্রতি হালি ৩০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ২০-২৫ টাকা, করলা ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। আর টমেটো ৪৫-৫০ টাকা, গাজর ১২০-১৫০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, পানি কুমড়া ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৫৫-৬০ টাকা, কার্টিনাল আলু ১৫-১৬ টাকা, শিলআলু ২৫ টাকা, সাদা আলু ২৪ টাকা, আদা ৬০-৮০ টাকা, রসুন ৬০-৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০-২০ টাকা, শুকনা মরিচ ২৩০-২৫০ টাকা ও বিভিন্ন ধরনের শাক প্রতি আঁটি ১০-১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।