চীনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এরই মধ্যে সীমান্ত খোলার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। এশিয়ার দেশটি থেকে আগত দর্শনার্থীদের কোভিড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এবার চীন থেকে আসাদের বহনকারী উড়োজাহাজের বর্জ্য (পানি) পরীক্ষা করার কথা জানিয়েছে তারা।
খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে লন্ডন ভিত্তিক সংবাদ সংস্থাটি জানায়, চীন থেকে আসা দর্শনার্থীদের বহনকারী উড়োজাহাজের পানি সংক্রান্ত বর্জ্য পরীক্ষার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি)। মূলত চীনে ছড়িয়ে পড়া নতুন ধরণ সম্পর্কে জানতেই এমনটা করবে তারা।
তিন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ রয়টার্সকে বলেছেন, এই নীতির ফলে ভাইরাসের নতুন ধরণ সম্পর্কে জানা যাবে। একইসঙ্গে ভাইরাসটি ট্র্যাকিং করতে সহজ হবে। এ ছাড়া চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের গতি কমানোর জন্য একটি ভাল সমাধান দেবে।
মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মাইকেল অস্টারহোম বলেছেন, ‘ভ্রমণ বিধিনিষেধ ও বাধ্যতামূলক পরীক্ষা করোনার বিস্তার রোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই তো বিস্তার রোধে বিকল্প পন্থা অবলম্বন করা উচিত। ’
তিনি আরও বলেন, ‘চীনা নাগরিকদের পরীক্ষা রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অপরিহার্য বলে মনে হয়। যদি কোনো সরকার নিজের নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য এসব না করে তাহলে তাকে অভিযুক্ত করা হবে। ’
এ দিকে উড়োজাহাজযোগে বাইরে আগত যাত্রীদের জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষা করার জন্য তৎপরতা বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন করে লস এঞ্জেলস বিমান বন্দরে এই পরীক্ষা করা হচ্ছে। এতে করে মোট সাতটি বিমান বন্দরে এই পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, কাজ করা যায় এমন স্যাম্পল তাদের কাছে পাঠানো হচ্ছে না।
ক্যালিফোর্নিয়ার লা জোল্লার স্ক্রিপস রিসার্চ ট্রান্সলেশনাল ইন্সটিটিউটের বিশেষজ্ঞ ও পরিচালক ডা. এরিক টপোল বলেছেন, ‘চীনের অস্বচ্ছতার কারণে ভাইরাসটি কীভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে তা বুঝা যাচ্ছে না। তবে উড়োজাহাজের পানি বর্জ্যের মাধ্যমে জিনিসটি সঠিকভাবে বুঝা যাবে। ’
চীনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ও সমালোচনা নিয়ে এবার মুখ খুলেছে দেশটির সরকার। তারা বলছে, আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন। করোনার নতুন ধরণ ব্যাপক হারে সংক্রমিত করতে পারে। তবে এটি জীবননাশক নয়।