তিনদিনের সফরে ভারতে পৌঁছেছেন ইজরায়েল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইলাই কোহেন। সোমবার (৯ মে) নয়াদিল্লিতে অবতরণ করে তার বিশেষ বিমান। সফরের প্রথম দিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, গত শনিবার ইসলামাবাদে ছিলেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং। উপস্থিত ছিলেন পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। হাজির ছিল আফগান তালিবানের প্রতিনিধি মৌলবী আমির খান মুত্তাকি। সেখানেই আফগানিস্তানকে সাহায্য করার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে পাকিস্তান ও চীন। পাকিস্তানের পর এবার আফগানিস্তানও অংশ হতে চলেছে বেজিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড (BRI) রোড প্রকল্পের। সবমিলিয়ে, এবার আফগানিস্তানে প্রভাব বৃদ্ধি করছে চীন। আর এই কাজে পাকিস্তানকে ঘুঁটি করছে কমিউনিস্ট দেশটি।
এহেন পরিস্থিতিতে ভারতে ইজরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। চীন ও পাকিস্তানের অভিসন্ধি নিয়ে দুই দেশই বরাবর সন্দিহান। সফরের প্রথম দিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ইলাই কোহেন বলে খবর। তারপর নয়াদিল্লিতে ইজরায়েল-ভারত বাণিজ্যিক সম্মেলনে অংশ নেবেন তিনি। বলে রাখা ভাল, গত এপ্রিল মাসে ভারতে এসেছিলেন ইজরায়েলের অর্থমন্ত্রী নির বরকাত। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও মজবুত করাই ছিল তাঁর সফরের উদ্দেশ্য।
উল্লেখ্য, ভারতের নিরাপত্তা ক্ষেত্রে বরাবরই সাহায্য করেছে ইজরায়েল। পাকিস্তানে সার্জিকাল স্ট্রাইকের সময়ও ইজরায়েলি বোমা ব্যবহার করা হয়েছিল। বিশেষ করে পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর ভারতের পাশে দাঁড়ায় তেল আভিভ। সন্ত্রাসদমনে একযোগে লড়াইয়ের আশ্বাস দেয়ে বন্ধু দেশটি। একেবারে নিঃশর্তে ভারতকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিল অন্যতম শক্তিধর দেশ ইজরায়েল।
সূত্রের খবর, জঙ্গি বিরোধী অভিযানে নিজেদের পরামর্শ এবং প্রযুক্তি দিয়ে শর্তহীনভাবে ভারতকে সাহায্য করতে প্রস্তুত হয়েছিল তৎকালীন নেতানিয়াহু প্রশাসন।