চুরি করা টাকা দিয়ে এখন বিএনপি আন্দোলনে খরচ করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ক্ষমতার মধু খেতে পারছে না, সেজন্যই দেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি বলে সমালোচনা করছে দলটি।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় হোটেল ম্যারিয়টে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নিউইয়র্কে প্রবাসী বাংলাদেশিদের নাগরিকদের সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি ছাড়া বিএনপি দেশকে কিছুই দিতে পারেনি। আসলে দেশে ভোট হোক, এটাই তারা চায় না। দেশবিরোধী মিথ্যা-অপপ্রচার ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের চিহ্নিত করা উচিত, তাদের মুখোশ উন্মোচন করা উচিত।
তিনি বলেন, বিশ্বনেতারা যখন বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির স্বীকৃতি দিচ্ছে তখন কয়েকটা চোর-চোট্টা কী বললো তাতে কান দেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই আমাদের।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করুন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তাদের কাছে তুলে ধরবেন। কেননা, তাদের কাছে অভিযোগ করেই একটা গোষ্ঠী দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে।
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের ক্ষমতার বদলে যদি কেউ অন্য কোনো পন্থায় ক্ষমতায় আসতে চায়, তাহলে তাদের সাজা পেতে হবে। অবৈধভাবে ক্ষমতা নেবার কোন সুযোগ নেই। আমরা গণতান্ত্রিক ধারা এনেছি, সেটা অব্যাহত থাকবে।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এটা বলছে, তাদের দেশের নির্বাচন নিয়েও তো সমস্যা আছে। আমরা তো দেখতে পারছি, তারা তাদের বিরোধী দলের সঙ্গে কি করছে। আমরা তো তাও করিনি।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত পুলিশের ওপর আঘাত করে। তখন পুলিশ সেটা প্রতিরোধ করলে সেটাও ফলাও করে প্রচার করা হয়। তবে এখন মিডিয়ার যুগ, মিডিয়া সব তথ্যগুলো ভালো করে দেখাক। দেখালে এবার যারা স্যাংশন দিতে চায় তারা তখন ওটাও দেখবে। একতরফা দেখবে না। শুরুটা কারা করলো সেটা আগে দেখতে হবে। তখন তারা স্যাংশন দিক।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ এমপি।