ক্রাইম রিপোর্টার : অবশেষে দেড় মাসের বেশি সময় পর পরিকল্পনামন্ত্রীর আইফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে। অন্য একটি মামলার তদন্তের সূত্র ধরে পরিকল্পনামন্ত্রীর মোবাইলটি উদ্ধারসহ ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির রমনা বিভাগ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মো. সগির, মো. সুমন মিয়া, মো. জাকির, হামিদ আহম্মেদ সোহাগ ওরফে আরিফ ও মো. জীবন। এসময় তাদের কাছ থেকে ১টি মোটরসাইকেল, বিভিন্ন মডেলের ১০টি ফোন, ১টি ল্যাপটপ ও মোবাইলের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ বলছে, জীবন নামে এক চোরাই মোবাইল কারবারিকে গ্রেপ্তার করে রমনা বিভাগ পুলিশ। মূলত তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই পুরো চক্রটি ধরা পড়ে ও মোবাইলটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
পুলিশের দাবি, ছিনতাইয়ের পর হাত বদল হয় মোবাইল ‘আইফোন । জীবন মোবাইলটি পেয়েছে আরিফ নামে একজনের কাছ থেকে। আরিফ মন্ত্রীর মোবাইলটি সফওয়্যার ব্যবহার করে আনলক করে জীবনের কাছে বিক্রি করে। আরিফ ফোনটি নিয়েছিল জাকির নামে একজনের কাছ থেকে। জাকির পেয়েছে সগির আর সুমনের কাছ থেকে। আর সগির আর সুমনই মোবাইলটি ছিনতাই করেছিল বলে দাবি পুলিশের।
সোমবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. সাজ্জাদুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘গতকাল রোববার ধারাবাহিক অভিযানের এক পর্যায়ে ধানমন্ডি থানার আরেকটি ছিনতাই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রীর ছিনতাই হওয়া মোবাইল উদ্ধারসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা হতে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।’
এই কর্মকর্তা বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার সগির ও সুমন মিয়ার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জাকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। জাকিরই জানায় সে আরিফের কাছে মোবাইলটি বিক্রি করেছিল। আরিফ টেকনোলজিতে এক্সপার্ট। সে সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে লক করা মোবাইল আনলক বা যে কোনো মোবাইল ব্যবহারের উপযোগী করতে পারে। তার কাছ থেকে টার্গেটকৃত ভিকটিমের মোবাইল উদ্ধার করা হয়। তার কাছে থাকা ল্যাপটপ যাচাইকালে পরিকল্পনামন্ত্রীর ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোনের ছবি দেখতে পাই।’
ডিসি আরও বলেন, ‘মোবাইল ফোনের ওই ছবির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে আরিফ জীবনের ঠিকানা দেয়। পরে জীবনের নিকট থেকে মন্ত্রীর মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়।’